ঢাকার আশুলিয়ায় শিক্ষার্থীকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের ঘটনার অভিযোগে গ্রেফতার তিনজনের বিভিন্ন মেয়াদে রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত।
বৃহস্পতিবার (৪ ডিসেম্বর) শুনানি শেষে ঢাকার সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট তাজুল ইসলাম সোহাগের আদালত এই রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা আশুলিয়া থানার পরিদর্শক সফিকুল ইসলাম গ্রেফতার গণবিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী তাজুল ইসলাম তাজ, শ্রাবণ সাহা এবং অন্তু দেওয়ানের সাতদিনের রিমান্ড আবেদন করেন। শুনানিতে আসামিপক্ষ রিমান্ড বাতিল করে জামিনের আর্জি জানালেও রাষ্ট্রপক্ষ তাতে আপত্তি তোলে।
পরে উভয়পক্ষের শুনানি শেষে আদালত তাজুল ও শ্রাবণের তিনদিন করে এবং অন্তু দেওয়ানের দুই দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
আরও পড়ুনশিক্ষার্থীকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণ, গণবিশ্ববিদ্যালয়ের ৪ ছাত্র গ্রেফতার
এদিকে মামলার প্রধান আসামি দেলোয়ার ভূইয়ার রিমান্ড শুনানির জন্য আগামী ৭ ডিসেম্বর দিন ধার্য করে তাকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
এদিন ঢাকার চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত প্রাঙ্গণে ন্যায়বিচারের দাবিতে মানববন্ধন করেন গণবিশ্ববিদ্যালয় আইন সমিতির ঢাকা বার শাখা।
মানববন্ধনে অংশ নেওয়া সাবেক শিক্ষার্থী ও আইনজীবীরা অভিযোগ করেন, শুধু অপরাধীরা নয়, বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের গাফিলতি ও কিছু কর্মকর্তার সংশ্লিষ্টতাও অনুসন্ধান করা জরুরি।
তারা উপাচার্যের পদত্যাগসহ চার দফা দাবি তুলে ধরেন এবং তিনদিনের মধ্যে অগ্রগতি না হলে আন্দোলন কর্মসূচি ঘোষণার হুঁশিয়ারি দেন।
পুলিশ জানায়, মঙ্গলবার রাতে ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী আশুলিয়া থানায় মামলা করলে পরদিনই দেলোয়ার, তাজুল, শ্রাবণ ও অন্তুসহ চারজনকে আশুলিয়ার বিভিন্ন এলাকা থেকে গ্রেফতার করা হয়।
মামলার অভিযোগে বলা হয়েছে, পিকনিকে নেওয়ার কথা বলে গত ৭ এপ্রিল ভুক্তভোগীকে সাভারের আশুলিয়ার ফুলেরটেক এলাকায় নিয়ে চেতনানাশক খাইয়ে একটি মেসে সংঘবদ্ধ ধর্ষণ করা হয়। পরে সেই ঘটনায় ব্ল্যাকমেইল করে বিভিন্ন ধাপে ৯৬ হাজার টাকা আদায় করেন অভিযুক্তরা।
এমডিএএ/ইএ