গাজীপুরের টঙ্গীতে একের পর এক ছিনতাইয়ের ঘটনায় ক্ষোভে ফুঁসছেন স্থানীয় বাসিন্দারা। ছিনতাইয়ের প্রতিবাদে সোমবার (৮ ডিসেম্বর) বেলা ১১টায় টঙ্গী পূর্ব থানা ফটকের সামনে ব্যানার ও প্ল্যাকার্ড নিয়ে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ করেন এলাকাবাসী। এক পর্যায়ে বিক্ষুব্ধরা মিছিল নিয়ে প্রায় এক ঘণ্টা টঙ্গী পূর্ব থানা ঘেরাও করে রাখে।
এলাকাবাসী জানায়, টঙ্গীতে প্রতিদিনই ছিনতাই, চুরিসহ নানা অপরাধমূলক কর্মকাণ্ড ঘটছে। মাজার বস্তিসহ বেশ কিছু বস্তি পরিণত হয়েছে অপরাধীদের নিরাপদ আশ্রয়স্থলে। সেখানে প্রকাশ্যে মাদক ব্যবসা চলছে। আর এই মাদকের টাকা জোগাড় করতে ছিনতাইয়ের মতো অপরাধ ঘটছে। এছাড়াও অরক্ষিত বিআরটি ফ্লাইওভারে ছিনতাইকারীর ছুরিকাঘাতে প্রাণ হারাচ্ছেন পথচারীরা। এতে জনমনে আতঙ্ক বিরাজ করছে।
অবিলম্বে বস্তিগুলোতে যৌথ বাহিনীর অভিযান, সিসিটিভি ক্যামেরা ও সড়কবাতি স্থাপনসহ গ্রেফতার আসামিদের সর্বোচ্চ শাস্তি দাবি করেন তারা। মানববন্ধন শেষে বিক্ষুব্ধ জনতা প্রায় এক ঘণ্টা টঙ্গী পূর্ব থানা ঘেরাও করে রাখে। এসময় তারা পুলিশের বিরুদ্ধে বিভিন্ন ধরনের স্লোগান দিতে থাকেন। পরে পুলিশকে ২৪ ঘণ্টার আল্টিমেটাম দিয়ে কর্মসূচি প্রত্যাহার করেন এলাকাবাসী।
এর আগে গত শনিবার সকাল পৌনে সাতটায় বাসা থেকে কর্মস্থলে যাওয়ার উদ্দেশ্যে বের হয়ে টঙ্গীর বাটাগেইট এলাকায় বিআরটি ফ্লাইওভারে ছুরিকাঘাতে নিহত হন একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা সিদ্দিকুর রহমান। ওই ঘটনায় ইমরান নামে এক ছিনতাইকারীকে রবিবার বিকেলে টঙ্গীর মাজার বস্তি থেকে গ্রেফতার করেছে র্যাব-১। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে সে হত্যাকাণ্ডের কথা স্বীকার করেছেন। এছাড়া প্রতিনিয়তই টঙ্গীতে ছিনতাইয়ের ঘটনায় সাধারণ নাগরিকরা উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েছেন। নিরাপত্তাহীনতায় সন্ধ্যার পর অনেকেই রাস্তাঘাটে বের হন না বলে মানববন্ধনে বক্তারা জানান।
আমিনুল ইসলাম/এফএ/জেআইএম