ঝালকাঠি সদর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা আসিফ ইকবালকে সাময়িকভাবে বরখাস্ত করা হয়েছে। একই সঙ্গে রাঙ্গামাটি জেলায় তাকে বদলির নির্দেশ দেয়া হয়েছে। ঝালকাঠি জেলা কৃষি সম্প্রসারণ বিভাগের উপ-পরিচালক শেখ আবু বকর সিদ্দিক জাগো নিউজকে সময়কে বলেন, আজ থেকেই তার স্থলে অতিরিক্ত দায়িত্ব হিসেবে জেলা কৃষি সম্প্রসারণ বিভাগের অতিরিক্তি উপ-পরিচালক আজগর আলীকে দায়িত্ব প্রদান করা হচ্ছে। জাগো নিউজকে তিনি আরো বলেন, উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা আসিফ ইকবাল সম্প্রতি আইএপিপি প্রকল্পে জৈব সার উৎপাদনকারী প্রদর্শনী কৃষক চাষীদের বিতরণের জন্য বরাদ্দ টাকায় টিন ক্রয় করেন। কিন্তু ওই টিন নিম্মমানের অভিযোগ করে কৃষকরা বিক্ষোভ করেন। বিষয়টি শিল্পমন্ত্রী ও ঝালকাঠি সদর আসনের সাংসদ আমির হোসেন আমুর কানেও যায়। পরে তার নির্দেশে এ ঘটনায় জেলা কৃষি সম্প্রসারণ বিভাগ তদন্ত টিম গঠন করে। যার তদন্ত রিপোর্ট এখনো জমা দেয়া হয় নি। কিন্তু তার আগেই কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের মহাপরিচালকের দফতর থেকে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তাকে বদলি ও বরখাস্তের এ নির্দেশ দেয়া হয়েছে বলে জানান জেলা কৃষি সম্প্রসারণ বিভাগের উপ-পরিচালক শেখ আবু বকর সিদ্দিক। এদিকে অভিযোগ রয়েছে, উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা আসিফ ইকবাল আইএপিপি প্রকল্পে বরাদ্দের টাকা আত্মসাৎ করে নিম্নমানের টিন কিনে ৪০টি জৈব সার উৎপাদনকারী প্রদর্শনী কৃষক চাষীদের মধ্যে বিতরণের চেষ্টা করেন। গত ১ সপ্তাহ আগে শিল্পমন্ত্রী আমির হোসেন আমুর হাত থেকে এই টিন বিতরণের উদ্যোগ নিয়ে বাড়তি টাকা আত্মসাত করার কৌশল নিয়েছিলেন। কিন্তু নিম্মমানের টিন দেখে মন্ত্রী ক্ষুব্ধ হন এবং টিন দেখে কৃষকরা বিক্ষোভ সৃষ্টি হয়। এ ঘটনার পর তার বিরুদ্ধে জেলা কৃষি সম্প্রসারণ বিভাগ তদন্ত টিম গঠন করে। এ ঘটনার পর বিভিন্ন গণমাধ্যমে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা আসিফ ইকবালের বিভিন্ন দুর্নীর অভিযোগ নিয়ে সংবাদ প্রচার হয়। পরে মহাপরিচালকের দফতর থেকে তাকে প্রথমে চট্টগ্রামের রাঙ্গামাটি ট্রেনিং অফিসার হিসেবে বদলি করে সাময়িক ভাবে বরখাস্ত করা হয়।আতিকুর রহমান/এআরএ/পিআর