সরকার পতন আন্দােলনের জন্য হাক ডাক দিলেও বর্তমানে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ও ঢাকা মহানগর বিএনপির আহবায়ক মির্জা আব্বাসকে।শনিবার রাতে বিএনপির চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়া অবরুদ্ধ হওয়ার পর থেকে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব ফখরুলের হদিস মিলছে না। গত তিন দিন ধরে তার মোবাইল ফোন বন্ধ পাওয়া গেছে। এমনকি রোববার ভোরে ফখরুলের বাসায় অভিযান পরিচালনা করেও তাকে পায়নি পুলিশ।পাশাপাশি একই অবস্থা মির্জা আব্বাসের। আন্দােলনের হুমকি দিয়ে তিনি আত্মগোপনে চলে গেছেন বলে ধারণা করছেন সংশ্লিষ্টরা। গত কয়েকদিন ধরে তাকে কোথাও দেখা যাচ্ছে না। ফলে আন্দােলনের সুনির্দিষ্ট দিন নির্দেশনা না পাওয়ার কারনে রাজধানীর দলের নেতাকর্মীরা চরম বিপাকে পড়েছেন।আগামীকালের বাঁচা মরার লড়াইয়ে এই দুই শীর্ষনেতার অনুপুস্থিতি ব্যাপক প্রভাব পেলতে পারে বলে মনে করছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ড. দিল রওশন জিন্নাত আরা নাজনিন মনে করেন গণতন্ত্রের কথা বলে আত্মগোপনে থাকা কেমন গণতন্ত্র বলে প্রশ্ন রাখেন তিনি।তিনি মনে করেন আন্দােলনের এই চুড়ান্ত মুর্হুতে দলের সিনিয়র নেতাদের কোন না কোনভাবে দিক নির্দেশনা দেয়া উচিত। এদিকে ৫ জানুয়ারিকে ঘিরে গতকাল শনিবার রাত থেকেই গুলশানের রাজনৈতিক কার্যালয়ে অবরুদ্ধ আছেন খালেদা জিয়া। নয়াপল্টন কার্যালয় তালা দিয়ে সেখান থেকে আটক করা হয়েছে দলটির যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভীকেও।রোববার রাত ৯টা পর্যন্ত দলটির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ও ঢাকা মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক আব্বাস খালেদার কার্যালয়ে যাননি। তবে ফখরুল অজ্ঞাত স্থান থেকে সংবাদ বিবৃতিতে বক্তব্য দিয়েছেন।এদিকে আজ সকাল থেকে বিকাল সাড়ে তিনটা পর্যন্ত বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলগীর, আর এ গনি, ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ, এম শামছুল ইসলাম, মাহবুবুর রহমান, তরিকুল ইসলাম, আসম হান্নান শাহ, এমকে আনোয়ার, ব্যারিস্টার জামির উদ্দিন সরকার, ব্যারিস্টার রফিকুল ইসলাম মিয়া, ডক্টর আবুল মঈন খান, নজরুল ইসলাম খান, উপদেষ্টা ড. ওসমান ফারুক, উকিল আবদুল ছাত্তার, অধ্যাপক এম এ মান্নান, ফজলুর রহমান পটল. মোশাররফ হোসেন, ইনাম আহমেদ চৌধুরী, এ এস এম আবদুল হালিমসহ ঢাকা মহানগরে সদস্য সচিব হাবিবুর নবী খান সোহেল, যুগ্ম মহাসচিব আমানউল্লাহ আমানসহ বড় বড় নেতারা আত্নগোপনে রয়েছেন। এখন পর্যন্ত স্থায়ী কমিটির কোনো নেতা খালেদা জিয়ার সঙ্গে দেখা করতে যাননি।এ বিষয় বিএনপির স্থায়ী কমিটির একাধিক নেতার সঙ্গে টেলিফোনে কথা বলতে চাইলে অনেকের মোবাইল ফোন বন্ধ পাওয়া যায়। আবার কেউ কেউ কথা বলতে অপারগতা প্রকাশ করেন।