ময়মনসিংহে পুলিশের অভিযানের সময় নিজ বাসার ছাদ থেকে পড়ে কাজী মঞ্জুর মোর্শেদ রাজু নামের এক আওয়ামী লীগ নেতার মৃত্যু হয়েছে।
শুক্রবার (১৯ ডিসেম্বর) বিকেল ৩টার দিকে নগরীর একটি বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।
এর আগে বৃহস্পতিবার (১৮ ডিসেম্বর) রাত সাড়ে ৭টার দিকে নগরীর বাঘমারা এলাকায় কাজী মঞ্জুর মোর্শেদ রাজুর বাসায় অভিযান চালায় পুলিশ।
মারা যাওয়া কাজী মঞ্জুর মোর্শেদ ময়মনসিংহ মহানগর আওয়ামী লীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক।
পুলিশ ও পরিবার সূত্র জানায়, বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে কোতোয়ালি মডেল থানা পুলিশ মঞ্জুর মোর্শেদ রাজুকে গ্রেফতার করতে বাসায় অভিযান চালায়। পুলিশ এসে বাসার গেট খুলতে বললে রাজু বিষয়টি টের পেয়ে গ্রেফতার এড়াতে দোতলার ছাদ থেকে লাফ দেন। এসময় বেলকনিতে মাথায় আঘাত লাগে। এতে রাজু গুরুতর আহত হন। পরে পুলিশ চলে গেলে পরিবারের লোকজন অচেতন অবস্থায় উদ্ধার করে প্রথমে তাকে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেন। পরে স্থানীয় একটি বেসরকারি হাসপাতালে নিয়ে গেলে সেখানে আইসিইউতে রাখেন চিকিৎসক। চিকিৎসাধীন অবস্থায় শুক্রবার বিকেল ৩টার দিকে রাজুকে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
রাজুর স্ত্রী সাথী বলেন, ‘গত আট বছর ধরে আমার স্বামী রাজনীতির সঙ্গে জড়িত ছিল না। তার নামে কোনো মামলা নেই। গত বছরের ৫ আগস্টের পর সে স্বাভাবিক জীবনযাপন করছিল। গতকাল পুলিশ তাকে গ্রেফতার করতে অভিযান চালায়। এতে আমার স্বামী আতঙ্কিত হয়ে গ্রেফতার এড়াতে ছাদ থেকে লাফ দেওয়ার ফলে মারা গেছে।’
এ বিষয়ে ময়মনসিংহ কোতোয়ালি মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. নাজমুস সাকিব বলেন, ডেভিল হান্ট ও নিয়মিত অভিযানের অংশ হিসেবে রাজুকে গ্রেফতার করতে অভিযান চালায় পুলিশ। ওই বাসার কলাপসিবল গেটে পুলিশ নক করলে বাসার গেট কেউ খোলেননি। এসময় পুলিশ ফিরে আসে।
তিনি আরও বলেন, আজ জানতে পেরেছি, গ্রেফতার এড়াতে বাসার ছাদ থেকে লাফ দিয়েছিলেন রাজু। পড়ার সময় বেলকনিতে মাথায় আঘাত লেগে গুরুতর আহত হন। আজ বিকেলে মারা যান।
মঞ্জুর মোর্শেদ রাজু এজাহারভুক্ত আসামি না উল্লেখ করে ওসি বলেন, তিনি সন্দেহজনক আসামি। মৃত্যুর পর তার পরিবার থানা পুলিশকে অবগত করেনি। মরদেহ পরিবারের লোকজন হাসপাতাল থেকে নিয়ে গেছেন।
কামরুজ্জামান মিন্টু/এসআর