রাজনীতি

তারেক রহমানের দেশে ফেরা গণতান্ত্রিক অগ্রযাত্রায় ঐতিহাসিক মুহূর্ত

বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের দেশে ফেরাকে বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক অগ্রযাত্রায় একটি ঐতিহাসিক ও অবিস্মরণীয় মুহূর্ত হিসেবে অভিহিত করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমদ।

বৃহস্পতিবার (২৫ ডিসেম্বর) তারেক রহমানের আগমনকে কেন্দ্র করে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের ফটকে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এ কথা বলেন সালাহউদ্দিন আহমদ।

তিনি বলেন, প্রায় ১৭ থেকে ১৮ বছর নির্বাসনে থাকার পর তারেক রহমানের মাতৃভূমিতে প্রত্যাবর্তন বাংলাদেশের ৫৫ বছরের ইতিহাসে একটি ঐতিহাসিক ঘটনা।

সারাদেশের কোটি কোটি মানুষ তাকে শুধু একনজর দেখার জন্য এবং তার মুখ থেকে দু-একটি কথা শোনার জন্য অপেক্ষা করছে, বলেন তিনি।

সালাহউদ্দিন আহমদ বলেন, দীর্ঘদিন ধরে গণতন্ত্র ও ভোটাধিকারের জন্য আন্দোলনের পর এখন মানুষের মধ্যে নতুন করে আশার সঞ্চার হয়েছে। আমরা ১৬ থেকে ১৭ বছর ধরে গণতন্ত্র ও ভোটাধিকার প্রতিষ্ঠার জন্য নিরবচ্ছিন্নভাবে সংগ্রাম করেছি। ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানের মাধ্যমে সেই গণতান্ত্রিক আন্দোলন তার পরিণতি পেয়েছে। ফ্যাসিবাদের পতন হয়েছে, গণতন্ত্র মুক্ত হয়েছে, আর আজ আমরা এক মুক্তির আবহে দাঁড়িয়ে আছি।

তিনি গণতান্ত্রিক উত্তরণ ব্যাহত করার ষড়যন্ত্রের বিষয়ে সতর্ক করে বলেন, সম্প্রতি মগবাজার ফ্লাইওভারে বোমা বিস্ফোরণের মতো ঘটনাগুলো এরই ইঙ্গিত দেয়।

সালাহউদ্দিন বলেন, ফ্যাসিবাদী শক্তি ও তাদের দেশি-বিদেশি দোসররা এখনও সক্রিয়। তারা বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক উত্তরণকে বাধাগ্রস্ত করতে এবং নির্বাচনকে বানচাল করতে চেষ্টা করবে। কিন্তু এটা তাদের জন্যই দুঃস্বপ্ন হয়ে থাকবে।

তিনি আরও বলেন, সহিংসতা ও অগণতান্ত্রিক উপায়ে যারা বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক যাত্রা রুদ্ধ করতে চায়, তাদের সম্মিলিতভাবে প্রতিহত করা হবে।

সালাহউদ্দিন আহমদ আশা প্রকাশ করে বলেন, জনগণের প্রত্যাশা পূরণ হবে। জনগণের সহযোগিতায় গণতান্ত্রিক উত্তরণের পর আমরা একটি সত্যিকারের গণতান্ত্রিক, বৈষম্যহীন ও সুশাসিত রাষ্ট্র গড়ে তুলতে চাই।

কেএইচ/এএমএ/এমএস