জাতীয়

বৃষ্টি উপেক্ষা করে ট্রেনের ছাদে ঝুঁকির ঈদযাত্রা

আজ (মঙ্গলবার) শাওয়াল মাসের চাঁদ দেখা গেলে কাল পবিত্র ঈদ-উল-ফিতর। শেষ সময়ে ট্রেনে যেন যাত্রীদের তিল ধারণের ঠাঁই নেই। আত্মীয়-স্বজনদের সঙ্গে ঈদ উদযাপন করতে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে ট্রেনের ছাদে চড়ে মানুষ ছুটছেন আপন ঠিকানায়।মঙ্গলবার রাজধানীর কমলাপুর রেলস্টেশনে গিয়ে দেখা যায়, ট্রেনের ভেতর সিট বা দাঁড়ানোর জায়গা না পেয়ে শত শত যাত্রী ঝুঁকি নিয়ে ছাদে উঠে বাড়ি ফিরছেন। বৃষ্টির কারণে অনেকেই ট্রেনের ছাদে ছাতা ও পলিথিন মাথায় দিয়ে বসে আছে। আবার অনেকে বৃষ্টিতে ভিজছে। সকালের তুলনায় বিকালে বেড়েছে যাত্রীর সংখ্যা। তাই স্টেশনে যাত্রীদের উপচেপড়া ভিড়। অতিরিক্ত যাত্রীর ভিড় সামলাতে হিমশিম খাচ্ছে রেল কর্তৃপক্ষ।দেওয়ানগঞ্জগামী কমিউনিটি ট্রেনে ঝুঁকি নিয়ে ছাদে উঠা রশিদ আলী বলেন, ‘জামালপুর যাবো। কোন টিকিট পাইনি। বাবা-মার সঙ্গে ঈদ করবো। বাড়ি তো যেতেই হবে, তাই ট্রেনের ছাদে চড়েছি। বৃষ্টিতে কিছুটা সমস্যা হচ্চে। পাঁচ টাকা দিয়ে একটি পলিথিন কিনেছি। এখন বাড়ি যেতে পারলেই হয়।’  আকলিমা খাতুন নামের আরেক যাত্রী বলেন, ‘বাসে যেতে যানজটে পড়তে হয়, আর ট্রেনের টিকিট পাই নাই। তাই বইলা কি বাড়ি যাবো না। অনেককে দেখলাম উঠতে। তাই আমিও উঠেছি। ট্রেনের ছাদে ভয় করছে না? এমন প্রশ্নের উত্তরে আকলিমা বলেন, ভয় করলে কি আর বাড়ি যাইতে পারবো?’          এ বিষয়ে কমলাপুর রেলওয়ে ম্যানেজার সিতাংশু চক্রবর্তী জাগো নিউজকে বলেন, শেষ মুহূর্তে যাত্রীদের ভিড় বেশি। যাত্রীর তুলনায় ট্রেনের ধারণ ক্ষমতা কম। আমরা যতটুকু সম্ভব যাত্রীদের ঝুঁকি নিয়ে ট্রেনের ছাদে যাত্রা নিরুৎসাহিত করছি। তারপরও কিছু যাত্রী ছাদে উঠে যাচ্ছে। তিনি বলেন, স্বাভাবিক সময়েই ট্রেনের ছাদে ভ্রমণ করা খুবই ঝুঁকিপূর্ণ। এর মধ্যে আবার বৃষ্টি। তারপরও অনেকে ছাদে উঠছে। আমাদের আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী কাজ করছে। কিন্তু এক বগি থেকে মানুষ নামিয়ে দিলে আরেক বগিতে উঠছে। তিনি বলেন, তাদের সতর্ক করার জন্য মাইকিং, লিফলেট বিতরণসহ স্টেশনে ব্যানার-ফেষ্টুন লাগানো হয়েছে। কিন্তু আমাদের বিধি নিষেধগুলো অনেকেই মানছে না। যাত্রীদের ছাদে না উঠার পরামর্শ দিয়ে তিনি বলেন, নিজের জীবনের ঝুঁকি নিজেকেই এড়িয়ে যেতে হবে। ঈদ মানে আনন্দ, এই এ আনন্দ যেন কষ্টের না হয়। যাত্রীদের ভোগান্তি ঠেকাতে যথাসম্ভব পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে। আশাকরছি এবার ঈদে যাত্রীদের বাড়ি যাওয়া এবং ফিরে আসতে কোনো সমস্যা হবে না। এসআই/এমএমজেড/এমএস