রাজধানীর দক্ষিণখানে বিএনপি সমর্থক এক ব্যবসায়ীর পায়ে পিস্তল ঠেকিয়ে গুলি করার অভিযোগ উঠেছে পুলিশের বিরুদ্ধে। আহত ব্যবসায়ীর নাম ফয়েজ আলী সরকার (৫০)। সোমবার সকাল সাড়ে ৮টায় দক্ষিণখানের মধ্য আজমপুরে এ ঘটনা ঘটে। ফয়েজ আলীকে গুরুতর আহত অবস্থায় প্রথমে উত্তরা ক্রিসেন্ট হাসপাতালে, পরে অবস্থার অবনতি হলে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের জরুরি বিভাগে ভর্তি করা হয়।উত্তরার ৪ নাম্বার সেক্টরের ১০ নম্বর সড়কের কাছে দক্ষিণখান আজমপুরে আইয়ুব আলী মার্কেটে রড-সিমেন্টের ব্যবসা করেন।প্রত্যক্ষদর্শী নুরুল হাসান জানান, ফয়েজ আলী মধ্য আজমপুরে ১৩ নম্বর নিপু এন্টারপ্রাইজ নামে দোকানের সামনে দাঁড়িয়ে ছিলেন। এসময় দক্ষিণখান থানা পুলিশ তাকে দোকানের সামনে থেকে টেনে-হিঁচড়ে নিয়ে গুলি করে। তাকে কী কারণে গুলি করা হয়েছে তা নিশ্চিত করে বলতে পারেননি তিনি।তবে পুলিশের দাবি, ফয়েজ অবরোধের সমর্থনে ওই এলাকায় পিকেটিং করছিল। নাশকতার আশঙ্কায় পুলিশ সেখানে উপস্থিত হলে তাদের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। অস্ত্র কেড়ে নেয়ার চেষ্টায় পুলিশের সাথে ধস্তাধস্তির একপর্যায়ে রিভলবার থেকে গুলিয়ে বেরিয়ে যায়।দক্ষিণখান থানার ওসি শামীমুর রশীদ তালুকদার জাগোনিউজকে বলেন, দক্ষিণ আজমপুরে ফরিদ মার্কেটের পাশে রেললাইনে প্রায় প্রতিদিনই নাশকতার চেষ্টা করে অবরোধকারীরা।সোমবার তাদের নাশকতা সৃষ্টির চেষ্টার সময় বাধা দিতে গেলে তারা পুলিশের ওপর ইটপাটকেল নিক্ষেপ করে। তখন পুলিশ ধাওয়া দিলে তারা পালানোর চেষ্ট করে।ওসি রশীদ তালুকদার দাবি করেন, ফয়েজ অবরোধের সমর্থনে ওই এলাকায় পিকেটিং করছিল। নাশকতার আশঙ্খায় পুলিশ সেখানে উপস্থিত হলে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে।এসআরজে/এ সময় পুলিশের সহকারী উপপরিদর্শক (এএসআই) জয়নাল আবেদিন ফয়েজকে ধরে ফেলেন। এলাকার লোকেরা তাকে ছোটানোর চেষ্টা করে এবং তাদের সঙ্গে পুলিশের ধস্তাধস্তি হয়।তারা একত্রিত হয়ে পুলিশের অস্ত্র কেড়ে নেয়ার চেষ্টায় পুলিশের সাথে ধস্তাধস্তি শুরু করে। একপর্যায়ে রিভলবারে চাপ পড়ে গুলিয়ে বেরিয়ে ফয়েজ আলীর উড়ুতে গুলি লাগে বলে দাবি করেন তিনি।-জেইউ/বিএ