শুধু জিপিএ-৫ বা এ প্লাস পেলেই শিক্ষা বা শিক্ষার্থীর মান ভালো হয় না। একজন শিক্ষার্থীর মান তার নীতি নৈতিকতা সব মিলিয়ে নির্ধারণ করা হয়। বৃহস্পতিবার এইচএসসি পরীক্ষার ফলাফল ঘোষণার পর সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এসব কথা বলেন নটর ডেম কলেজের অধ্যক্ষ ফাদার হেমন্ত পিয়াস রোজারিও। এ বছর নটর ডেম কলেজের মোট ২ হাজার ৬৩৯ জন শিক্ষার্থী এইচএসসি পরীক্ষায় অংশ নেন। এদের মধ্যে ২ হাজার ৫৭৪ জন পাস করেছেন এবং জিপিএ-৫ পেয়েছেন মোট ১ হাজার ৬৭১ শিক্ষার্থী, যা আগের বছরের তুলনায় ৩৪টি বেশি। কলেজের পাসের হার ৯৭ দশমিক ৯৮ শতাংশ। জিপিএ-৫ এর সংখ্যা বৃদ্ধির সঙ্গে শিক্ষার মান বৃদ্ধি পেয়েছে কি না এ বিষয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে অধ্যক্ষ বলেন, শিক্ষার মান নির্ধারণের সময় নীতি নৈতিকতাসহ সব বিষয় বিবেচনায় নেয়া উচিত। এ প্লাস পাওয়ার কিছু শর্টকাট পদ্ধতি আছে, সেগুলো মানলেই এ প্লাস পাওয়া যায়। তবে এ প্লাস পেলেই কেউ মেধাবী শিক্ষার্থী হয় না। এ প্লাস পাওয়ার পর পরবর্তী ধাপে একজন শিক্ষার্থীর অবস্থান কোথায় এ বিষয়টি মূল্যায়ন করতে হবে। এবারের এইচএসসি পরীক্ষায় ৮টি সাধারণ শিক্ষা বোর্ড, মাদরাসা ও কারিগরি বোর্ডের অধীনে এবার ১২ লাখ ১৮ হাজার ৬২৮ পরীক্ষার্থী অংশ নেন। এর মধ্যে গড় পাসের হার ৭৪ দশমিক ৭০ শতাংশ, যা গতবারের চেয়ে ৫ দশমিক ১০ শতাংশ বেড়েছে। গত ৩ এপ্রিল এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষা শুরু হয়ে শেষ হয় জুনে। এআর/একে/এবিএস