মহাকবি মাইকেল মধুসূদন দত্তের ১৯১তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বাণী দিয়েছেন।রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ তাঁর বাণীতে বলেছেন, মহাকবি মাইকেল মধুসূদন দত্ত বাংলা সাহিত্যের যুগ প্রবর্তক কবি। উনিশ শতকে বাঙালি নবজাগরনের অন্যতম পথিকৃৎ মধুসূদন তার অনন্য সাধারণ প্রতিভা দিয়ে বাংলা ভাষার অন্তর্নিহিত শক্তি আবিষ্কার করে এই ভাষা ও সাহিত্যের যে উৎকর্ষ সাধন করেন, তা বাংলা সাহিত্যের ইতিহাসে বিরল।রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ আরো বলেন, কিংবদন্তিসম প্রবাদপ্রতিম এ মহাকবি বাংলা সাহিত্যকে অমরত্ব দান করেছেন স্বমহিমায়। বাংলা সাহিত্যের পাশাপাশি বিশ্ব সাহিত্যের অঙ্গন মহাকবি মাইকেল মধুসূদন দত্ত মুখরিত করেছেন তার দৃপ্ত পদচারণায়, অসামান্য সৃজনশীলতায়। মাতৃভাষার সাথে ইংরেজী সাহিত্যেও তার সৃষ্টি সম্ভার অপার বিস্ময়ে ও কৃতজ্ঞচিত্তে স্মরণ করা হয়।তিনি বলেন, মধু কবির সাহিত্যবোধের স্ফুরণ প্রাচ্য ও পাশ্বাত্যের ভাবাদর্শের সম্মিলন নবপ্রজন্মের পাঠক সৃষ্টিতে এক অনন্য ভূমিকা রেখেছে।ক্ষণজন্মা এই মহাপুরুষের জন্মজয়ন্তী ও মধুমেলা ২০১৫-এর সার্বিক সাফল্য কামনা করেন রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ।প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তাঁর বাণীতে বলেছেন, প্রবাদ পুরুষ মহাকবি মাইকেল মধুসূদন দত্তের অনন্য সাহিত্যকীর্তি আমাদের ভাষা ও সাহিত্যের মহামূল্যবান সম্পদ। তিনি বাংলা ভাষায় মহাকাব্য রচনা এবং বাংলা কবিতায় অমিত্রাক্ষর ছন্দ প্রবর্তনের পথিকৃৎ।তিনি কবির জন্মবার্ষিকীতে তাঁর স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানিয়ে বলেন, মহাকবি মাইকেল মধুসূদন দত্তের নাটক, প্রহসন, মহাকাব্য, পত্রকাব্য, সনেট, ট্র্যাজেডিসহ সাহিত্যের বিভিন্ন শাখায় তাঁর অমর সৃষ্টি বাংলা ভাষা ও সাহিত্যকে এক বিশেষ মর্যাদার আসনে প্রতিষ্ঠিত করেছে।মহাকবি মাইকেল মধুসূদন দত্তের ১৯১তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে তাঁর জন্মস্থান যশোর জেলার সাগরদাঁড়িতে ‘মধুমেলা’র আয়োজন করা হয়েছে জেনে প্রধানমন্ত্রী সন্তোষ প্রকাশ করে মধুমেলা ২০১৫ এর সার্বিক সাফল্য কামনা করেন। -বাসসআরএস