দেশজুড়ে

নরসিংদীতে ধর্ষণ মামলায় ৬ জনের ফাঁসি

নরসিংদীর পলাশে প্রাণ-আরএফএল গ্রুপের এক নারী শ্রমিককে (৩০) ধর্ষণের দায়ে ৬ জনের ফাঁসি দিয়েছেন আদালত। একই সঙ্গে প্রত্যেককে এক লাখ টাকা করে অর্থদণ্ড প্রদান করা হয়। 

এছাড়া ধর্ষণের চিত্র ধারণের অপরাধে পর্নোগ্রাফি আইনে আসামিদের সবাইকে সাত বছরের সশ্রম কারাদণ্ড এবং দুই লাখ টাকা করে অর্থদণ্ড দেয়া হয়।মঙ্গলবার দুপর ৩টার দিকে নরসিংদীর নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক শামীম আহাম্মেদ এই রায় দেন।

সাজাপ্রাপ্ত আসামিরা হলেন, পলাশ উপজেলার বাগপাড়া গ্রামের কুদ্দুছ আলীর ছেলে আশিকুর রহমান (২২), তাজুল ইসলামের ছেলে ইলিয়াছ ওরফে সফিকুল (২৩), সিরাজ শেখের ছেলে রুমিন মিয়া (২০), মন্টু মিয়ার ছেলে ইব্রাহিম (২২), হানিফা মিয়ার ছেলে রবিন আহম্মেদ (২০) ও সাদ্দাম মিয়ার ছেলে আ. রহমান (২৪)।  আদালত ও মামলা সূত্রে জানা যায়, ২০১৫ সালের ২৩ মে ঘোড়াশাল প্রাণ-আরএফএল কোম্পানির টিফিনের সময় ওই নারী শ্রমিক খেতে বের হন। এসময় তিনি ঘোড়াশাল জনতা জুটমিলের গেটের সামনে পৌঁছলে আসামিরা তার গতিরোধ করে। পরে তাকে ধরে জোরপূর্বক নির্জন স্থানে নিয়ে পালাক্রমে ধর্ষণ করে এবং ধর্ষণের ভিডিও মোবাইল ফোনে ধারণ করে পরে তা ইন্টারনেটে ছেড়ে দেয়। ঘটনার পরদিন ধর্ষণের শিকার ওই নারী প্রাণ-আরএফএল গ্রুপের সহকারী ব্যবস্থাপক এএসএম সাদেকুল ইসলামকে বিষয়টি জানান। পরে তিনি বাদী হয়ে পলাশ থানায় আসামিদের বিরুদ্ধে ধর্ষণ ও নারী নির্যাতনের অভিযোগে এনে মামলা দায়ের করেন।রায়ে সন্তুষ্টি প্রকাশ করে মামলার বাদী ও প্রাণ-আরএফএল গ্রুপের সহকারী ব্যাবস্থাপক (প্রোডাকশন) এএসএম সাদেকুল ইসলাম বলেন, আদালত ন্যায় বিচার করেছেন। নির্যাতনের বিপক্ষে উপযুক্ত শাস্তিও দিয়েছেন। এখন দ্রুত ফাঁসির রায় কার্যকর করার দাবি জানাচ্ছি।মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা বদরুল আলম খান (বর্তমান ঈশ্বরগঞ্জ থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জানান, আসামিদের বিরুদ্ধে ২০১৫ সালের ৮ আগস্ট আদালতে অভিযোগ পত্র দাখিল করা হয়। একইসঙ্গে ধর্ষণের ভিডিও জমা দেয়া হয়। মামলায় ১২ জন সাক্ষীর সাক্ষ্য প্রমাণ শেষে আদালতের বিজ্ঞ বিচারক আসামিদের বিরুদ্ধে এ রায় দেন।রাষ্টপক্ষে মামলা পরিচালনা করেন স্পেশাল পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) অ্যাড. রিনা দেবনাথ ও সাবেক স্পেলাল পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) শরীফুল ইসলাম ধর্পন, সহকারী পাবলিক প্রসিকিউটর (এপিপি) অ্যাড. এমএন অলিউল্লা ও অ্যাড. কানিজ ফাতেমা। অপরদিকে আসামি পক্ষের মামলা পরিচালনা করেন অ্যাড. এমএ আওয়াল। সঞ্জিত সাহা/এফএ/এমএস