নরসিংদীতে দু’পক্ষের সংঘর্ষে আব্দুর রশিদ (৪০) নামে এক ব্যবসায়ী নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় নিহতের অপর দুই ভাই খোরশেদ আলম (৪৫) ও আসাদ মিয়া (৫০) আহত হয়েছেন। শনিবার সন্ধ্যায় শহরের শিক্ষা চত্বর এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।আহতদের মধ্যে খোরশেদ আলমকে গুরুতর আহত অবস্থায় ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। নিহত আব্দুর রশিদ পৌর শহরের বানিয়ারছল এলাকার আব্দুল বারেক মিয়ার ছেলে। তিনি বানিয়ারছল এলাকায় ওয়ার্কসপ ব্যবসা করতেন। পুলিশ সূত্রে জানা যায়, পৌর শহরের বানিয়ারছল এলাকার অটোরিকশাচালক স্বপন মিয়া ভেলানগর থেকে যাত্রী নিয়ে শহরের দিকে আসছিলেন। অটোরিকশাটি শহরের শিক্ষা চত্বর এলাকায় আসলে সামনের একটি অটোরিকশার সঙ্গে ধাক্কা লাগে। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে সামনের অটোচালক স্বপন মিয়াকে মারধর শুরু করেন। নিরূপায় হয়ে চালক স্বপন মিয়া তার বাড়িতে জানান। খবর পেয়ে স্বপনের আত্মীয় ওয়ার্কসপ ব্যসায়ী আসাদ মিয়া তার দুই ভাই রশিদ ও খোরশেদকে নিয়ে ঘটনাস্থলে যান। কোনো কিছু বুঝে ওঠার আগেই প্রতিপক্ষের ২০/৩০ জন লোক সংঘবদ্ধ হয়ে তাদের ওপর হামলা চালায়। এ সময় প্রতিপক্ষরা ছুড়ি দিয়ে এলোপাতাড়ি তিন ভাইকে কোপাতে থাকে। এতে রশিদ ঘটনাস্থলেই মারা যান। গুরুতর আহত হন আসাদ মিয়া ও খোরশেদ মিয়া। এ ঘটনায় পুলিশ বাবু নামে একজনকে ঘটনাস্থল থেকে আটক করেছে এবং থানায় মামলার প্রস্তুতি চলছে।আহত আসাদ মিয়া বলেন, সন্ত্রাসীরা যখন আমাদের ছুরি দিয়ে কোপাচ্ছিল তখন আমি দৌড়ে পুলিশের কাছে এসে সাহায্য চাই। কিন্তু পুলিশ আমাদের কোনো সাহায্য করেনি। পুলিশ যদি একটু এগিয়ে আসতো তাহলে আমার ভাই মারা যেত না। সদর মডেল থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) গোলাম মোস্তফা ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, আমরা এখনো পুরোপুরি নিশ্চিত নই, ঠিক কী কারণে এ ঘটনা ঘটেছে। তদন্ত চলছে শেষ হলেই বলা যাবে। মরদেহ উদ্ধার করে সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। সঞ্জিত সাহা/এমএএস/আরআইপি