টেস্ট মর্যাদার তিন বছর পর ২০০৩ সালে বাংলাদেশ দ্বিতীয়বার বিশ্বকাপ খেলতে উড়াল দিল দক্ষিণ আফ্রিকার উদ্দেশ্যে। স্বাভাবিকভাবেই এই বিশ্বকাপকে ঘিরে মানুষের প্রত্যাশাও ছিল অনেক বেশি। তবে এই প্রত্যাশা পূরণ করতে ব্যর্থ হয় বাংলাদেশ দল।ব্যর্থতার ষোলকলা পূর্ণ করে বিশ্বকাপে আইসিসির সহযোগী দেশ কানাডার কাছে ৬০ রানে হেরে। এছাড়া বড় দলগুলোর সঙ্গে কোন প্রতিরোধ ছাড়াই হারে বাংলাদেশ।শুরুর দিকে সবকিছু বাংলাদেশের পক্ষেই ছিল। টস জিতে আগে ব্যাট করে কানাডা ৪৯.১ ওভারে ১৮০ রানেই অলআউট হয়ে যায়। সর্বোচ্চ ৪২ রান করেন বিলক্লিফ।সানোয়ার হোসেন ২৮/২,মাশরাফি মুর্তজা ৩৮/২ এবং ১টি করে উইকেট পান তাপস বৈশ্য, মুনজুরুল ইসলাম,মোহাম্মদ রফিক ও অলক কাপালী।জয়ের জন্য ১৮১ রানের লক্ষে ব্যাট করতে নেমে তালগোল পাকিয়ে ফেলে বাংলাদেশের ব্যাটসম্যানরা। ১০৬ রানে ৫ উইকেট হারানো দলটি স্কোরবোর্ডে আর ১৫ রান যোগ করতেই বাকি ৫ উইকেটও হারিয়ে বসে। অর্থাৎ ২৮ ওভারে বাংলাদেশ গুটিয়ে যায় ১২০ রানেই।সর্বোচ্চ ২৫ রান করে করেন ওপেনার হান্নান সরকার এবং সানোয়ার হোসেন। এছাড়া কাপালী ১৯,এহসানুল হক ১৩ এবং রফিক ১২ রান করেন। কোডেরিংটন ২৭ রানে নেন ৫ উইকেট।কানাডার কাছে হারে গোটা বাংলাদেশেই বিষাদের ছায়া নেমে আসে। কারণ এদেশের ক্রিকেট ভক্তরা মনে করেছিল বিশ্বকাপে আর যাই হোক অন্তত কানাডাকে হারাবে বাংলাদেশ। উল্টো তাদের কাছে ৬০ রানে হেরে গিয়ে লজ্জা পেতে হলো। শুধু তাই-নয় গ্রুপের শেষ ম্যাচে কেনিয়ার কাছেও হারতে হয়েছে বাংলাদেশকে।এমআর/আরআইপি