ফিচার

সন্তানের খোঁজ নিতে গোয়েন্দাগিরি

সন্তানের ভালো-মন্দ দেখার দায়িত্ব তার মা-বাবার। ভালো-মন্দের খেয়াল রাখাটা মা-বাবার জন্য যতটা না দায়িত্বের, তার চেয়ে বেশি সহজাত।তাই বলে শিশুরা মা-বাবার অগোচরে কী করছে তা জানার জন্য তাদের পেছনে গোয়েন্দার মতো লেগে থাকতে হবে নাকি? এটা একদমই ঠিক না। এই ডিজিটাল যুগে এমন গোয়েন্দাগিরি কতটা গণতান্ত্রিক?সম্প্রতি যুক্তরাষ্ট্রজুড়ে ই-মেইলের মাধ্যমে এ ব্যাপারে মা-বাবাদের কাছে জানতে চাওয়া হয়েছে সিএনএনের পক্ষ থেকে। গণমাধ্যমটির ডিজিটাল করেসপন্ডেন্ট কেলি ওয়ালেস এ ব্যাপারে খোঁজ-খবর নেন।ওয়ালেস বলেছেন, মা-বাবা তাদের সন্তানদের নিরাপদে রাখার জন্য নেওয়া বিভিন্ন পদক্ষেপকে ভিন্নভাবে ব্যাখ্যা করেন। এজন্য তাদের কোন আচরণটা কেমন তা নিয়ে মাথা ঘামান না। কেউ কেউ এজন্য গোয়েন্দাগিরিকেও যথাযথ মনে করেন।যেমন মেরিল্যান্ড অঙ্গরাজ্যের ফ্রেডরিক শহরের তিন ছেলের এক মা আমান্দা রদ্রিগেজ শিশুদের অগোচরে তাদের খোঁজ-খবর নেওয়াকে গোয়েন্দাগিরি বলতে নারাজ। তার মতে, এটা শিশুদের কল্যাণে অবশ্যকরণীয়। এটা প্যারেন্টিং।তার কাছে তার ছেলেদের ই-মেইল ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের অ্যাকাউন্টের পাসওয়ার্ড পর্যন্ত আছে। এটা তার ছেলেরাও জানে। তিনি নিয়মিত অ্যাকাউন্টগুলো খুলে দেখেন। এবং তাদের বয়স ১৮ না হওয়া পর্যন্ত দেখবেন বলে জানান।সাত বছর বয়সী মেয়ের মা জন ফারজানিকের মন্তব্য হচ্ছে, গোয়েন্দাগিরি কথাটি শুনতে খারাপ। তবে এটা আপনার শিশুর জীবন বাঁচাতে পারে।অন্যদিকে গোয়েন্দাগিরির ব্যাপারে এক মেয়ের মা লরি ডের মতামত সম্পূর্ণ উল্টো। পেশায় শিক্ষা মনোবিজ্ঞানী ডে মনে করেন, এটা সন্তানের ব্যক্তিগত বিষয়ে হস্তক্ষেপ ও বিশ্বাস ভঙ্গের শামিল। এ ক্ষেত্রে ধরা পড়লে সন্তানের সঙ্গে সম্পর্কের ভয়াবহ ক্ষতি হওয়ার আশঙ্কা থাকে।২০০৮ সালে পরিচালিত এক গবেষণায় দেখা গেছে, প্রায় ৪০ শতাংশ টিনএজার যৌনতা বিষয়ক পোস্ট বা মেসেজিংয়ের সঙ্গে জড়িত। আরেক জরিপের তথ্য হচ্ছে, ৩৫ শতাংশ মা-বাবা সন্তানের অগোচরে তাদের স্মার্টফোনের কর্মকাণ্ডের খোঁজ-খবর রাখেন।সূত্র : সিএনএনবিএ/আরআইপি