দেশজুড়ে

যশোরে হঠাৎ ডায়রিয়ার প্রকোপ

যশোরে ‘রোটা ভাইরাসের’ কারণে হঠাৎ বেড়ে গেছে ডায়রিয়া। গত চার দিনে যশোর ২৫০ শয্যা হাসপাতাল থেকে পৌনে দু’শ রোগী চিকিৎসা সেবা নিয়েছেন। এদের মধ্যে হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন ৬৯ জন। হঠাৎ ডায়রিয়া রোগী বৃদ্ধি পাওয়ায় সামাল দিতে হিমসিম খাচ্ছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।হাসপাতাল সূত্র জানায়, গত চার দিনে ডায়রিয়ায় আক্রান্ত রোগী বৃদ্ধি পেয়েছে। চার দিনে ১৭০ জন রোগী ভর্তি হয়েছেন। এর মধ্যে ৩১ জানুয়ারি ৪১জন, ১ ফেব্রুয়ারি ৩২ জন, ২ ফেব্রুয়ারি ৫৩ জন ও ৩ ফেব্রুয়ারি ৪৪ জন রোগী ভর্তি হয়। এদের মধ্যে বুধবার সকাল পর্যন্ত ৬৯ জন রোগী চিকিৎসাধীন আছে। হাসপাতালে ডায়রিয়া ওয়ার্ডে মাত্র ৫টি বেড রয়েছে। এ কারণে বাড়তি রোগীদের ঠাঁই হয়েছে হাসপাতালের বারান্দা ও মেঝেতে।হাসপাতালের ভারপ্রাপ্ত তত্ত্বাবধায়ক ডা. শ্যামল কৃষ্ণ সাহা বলেন, রোগীর বাড়তি চাপ সামলাতে মেডিকেল কলেজের ৩জন ও বিভিন্ন উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের ৬ জনসহ মোট ১৯ জন চিকিৎসক ও ৩০ জন সেবিকা সার্বক্ষণিক চিকিৎসা সেবা দিচ্ছেন। ডায়রিয়ার প্রকোপ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ধারণা করা হচ্ছে রোটা ভাইরাসের কারণে এই রোগ বৃদ্ধি পেয়েছে। তবে বিষয়টি নিশ্চিত হতে পরীক্ষা-নিরীক্ষার জন্য স্যাম্পল যশোর মেডিকেল কলেজে পাঠানো হয়েছে।এদিকে, বাড়তি রোগী সামলাতে চিকিৎসক ও সেবিকাদের দৌঁড়ঝাপ চলছে। তারপরও সার্বক্ষণিক রোগীর সেবা নিশ্চিত করতে গিয়ে তারা হিমশিম খাচ্ছেন। একজন সেবিকা হাত মাইকে রোগী ও তার স্বজনদের সচেতনতামূলক বক্তব্য দিচ্ছেন। ঘুরে ঘুরে তিনি রোগীদের খোঁজখবর নিচ্ছেন।ডায়রিয়া ওয়ার্ডের সেবিকা মোকছেদা খানম বলেন, রোগীর সংখ্যা বৃদ্ধি পাওয়ায় একটু কষ্ট হচ্ছে। কিন্তু রোগীরা ঠিকমত সেবা পাচ্ছেন।এদিকে, ডায়রিয়ার প্রকোপের খরব পেয়ে বুধবার বিকেলে হাসপাতালে যান যশোর সদর উপজেলা চেয়ারম্যান শাহীন চাকলাদার। তিনি রোগীদের চিকিৎসা সেবার খোঁজখবর নেন। পরে তিনি রোগীদের মাঝে স্যালাইন, ওষুধ ও বিশুদ্ধ পানি সরবরাহ করেন। এমএএস/আরআই