দেশজুড়ে

রমেকে ভর্তি ৮ অগ্নিদগ্ধের অবস্থা আশঙ্কাজনক

গাইবান্ধায় বাসে পেট্রবোমা নিক্ষেপের ঘটনায় অগ্নিদগ্ধ ২০ জনকে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে ভর্তি করা হয়েছে। শুক্রবার রাতেই তাদের ভর্তি করা হয়। এদের মধ্যে আটজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে জানিয়েছেন বার্ন ইউনিটের বিভাগীয় প্রধান ডা: মারুফুল ইসলাম।এদিকে শনিবার সকালে দগ্ধ হওয়া আরেক শিশু সুজন (১০) মারা গেছে। এ নিয়ে ৩জন শিশুসহ মোট নিহতের সংখ্যা ৬ জনে দাঁড়িয়েছে। নিহতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের কর্তব্যরত চিকিৎসকরা।রংপুরের জেলা প্রশাসক মো. ফরিদ আহাম্মদ শনিবার সকালে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে চিকিৎসাধীন অগ্নিদদ্ধ রোগীদের খোঁজ-খবর নেন এবং দু’দফায় তিনি ২০ হাজার টাকা করে মোট ৪০ হাজার টাকা চিকিৎসার জন্য আর্থিক সহায়তা দেন।জেলা প্রশাসক ফরিদ আহাম্মদ জানান, গাইবান্ধার ঘটনার পরপরই রংপুরে পুলিশ প্রশাসনের পাশাপাশি বিজিবি মোতায়েন করা হয়েছে। বিজিবি সদস্যরা রংপুরের সকল পরীক্ষা কেন্দ্রে দায়িত্ব পালনের পাশাপাশি নগরীতে ব্যাপক টহল জোরদার করা হয়েছে।এদিকে, এ ঘটনার পরপরই রংপুরের বিভাগীয় কমিশনার মুহাম্মদ দিলোয়ার বখত, রংপুর রেঞ্জ ডিআইজি মো: হুমায়ুন কবীর, পুলিশ সুপার আব্দুর রাজ্জাকসহ র্যাব ও বিজিবির কর্মকর্তারা রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রোগীদের দেখতে আসেন।পুলিশ জানায়, গাইবান্ধা জেলার সদর উপজেলায় শুক্রবার রাতে সুন্দরগঞ্জ-ঢাকাগামী নাপু এন্টারপ্রাইজের একটি যাত্রীবাহী বাসে পেট্রলবোমা হামলা চালায় দুর্বৃত্তরা। এতে দগ্ধ হয়ে দুই শিশুসহ পাঁচজন নিহত হন। এছাড়া কোচের চালক ও হেলপারসহ অন্তত ৪০ জনের অধীক যাত্রী দগ্ধ হয়েছেন।গাইবান্ধা-পলাশবাড়ী সড়কের তুলশীঘাটের গাইবান্ধা পল্লী বিদ্যুৎ অফিসের সামনে শুক্রবার রাত ১১টার দিকে এ ঘটনা ঘটেএমএএস/আরআই