জাতীয়

সাঁওতালদের জমি দখলে রাষ্ট্র নিজেই নেমে গেছে

গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জে সাঁওতালদের জমি দখলে রাষ্ট্র নিজেই জড়িত। ওই অঞ্চলের ইউএনও, ডিসি, এসপিরা মিলেমিশে জমি দখলে সহায়তা করছেন। রবিবার গ্রামীণ নারীর জমি-জলা-খাদ্যের অধিকার ও কৃষি ব্যবস্থা শীর্ষক এক সেমিনারে বক্তারা এসব কথা বলেন। রাজধানীর সিরডাপ মিলনায়তনে বেসরকারি সংস্থা এএলআরডি, নিজেরা করি ও বেলা যৌথভাবে এ সেমিনারের আয়োজন করে। এএলআরডির সমন্বয়কারী খুশি কবিরের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বেলার নির্বাহী পরিচালক সৈয়দা রেজওয়ানা হাসান ও এএলআরডির উপ-নির্বাহী পরিচালক রওনক জাহান মনি মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন। আলোচনায় অংশ নেন হেডম্যান কারবারী নেটওয়ার্কের খাগড়াছড়ি শাখার সাধারণ সম্পাদক ভৌমিক ত্রিপুরা, রাঙ্গামাটি বারকল উপজেলা চেয়ারম্যান মনি চাকমা, অধ্যাপক ও গবেষক ড. স্বপন আদনান, অধ্যাপক ড. সাদেকা হালিম, এএলআরডির নির্বাহী পরিচালক শামসুল হুদা প্রমুখ। উল্লেখ্য, রংপুর চিনিকলের (রচিক) সাহেবগঞ্জ ইক্ষু খামারে বসবাসরত সাঁওতালদের শত শত ঘর পুড়িয়ে দেওয়ার পর তা ট্রাক্টর দিয়ে মাটির সঙ্গে মিশিয়ে দিয়েছে কর্তৃপক্ষ। অনুষ্ঠানে সাদেকা হালিম বলেন, এক সময় ভূমিদস্যুদের কবলে পড়ে ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠী নির্যাতিত হতো। তাদের জমি দখল করে নেয়া হতো। এখন রাষ্ট্র নিজেই এ কাজে নেমেছে। পুরুষতান্ত্রিকতার কারণে নারীরা অধিকার পাচ্ছে না উল্লেখ করে ঢাকা বিশ্ব বিদ্যালয়ের এ অধ্যাপক বলেন, বিশ্বের বিভিন্ন দেশে নারী-পুরুষ সম্পত্তিতে সমান অধিকার পেলেও এখানে পায় না। অথচ দেশের উন্নয়নে তাদেরও ভূমিকা রয়েছে। মোট জিডিপির প্রায় ২০ ভাগ আসে নারীর কাছ থেকে। মূল প্রবন্ধে সৈয়দা রেজওয়ানা হাসান বলেন, কৃষি থেকে শিল্প সব জায়গাতেই নারীররা বিরাট ভূমিকা রাখলেও তাদের কাজের কোন স্বীকৃতি নেই। এ অবস্থার পরিবর্তন হওয়া দরকার।তিনি বলেন, সামাজিক ও অর্থনৈতিক উন্নয়নে গ্রামীণ আদি নারীদের অবদানের স্বীকৃতি দিতে হবে।এমএ/এমএমজেড/আরআইপি