দেশজুড়ে

নাতনির সঙ্গে পিইসি পরীক্ষা দিচ্ছেন ষাটোর্ধ্ব বাসিরন

প্রাথমিক শিক্ষা সমাপনী (পিইসি) পরীক্ষায় অংশ নিয়ে একটি স্বপ্ন পূরণ হয়েছে। পাস করতে পারলে আর একটি স্বপ্ন পূরণ হবে। ইংরেজি পরীক্ষায় ১০০ নম্বরের মধ্যে ৯৫ নম্বর উত্তর দিয়েছি। নাতি-নাতনিদের সঙ্গে পরীক্ষা দিতে পেরে উল্লাসিত আমি। পিইসি পরীক্ষায় অংশ নিয়ে এভাবে সাংবাদিকদের সামনে নিজের অভিমত ব্যক্ত করলেন মেহেরপুরের হোগলবাড়িয়া গ্রামের ৬৫ বছরের বাসিরন নেছা।মেহেরপুর গাংনী উপজেলার হোগলবাড়িয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে রোববার পরীক্ষায় অংশ নেন তিনি। সহপাঠীরাও বাসিরন নেছার সঙ্গে পরীক্ষায় অংশ নিয়ে পেরে গর্বিত।  হোগলবাড়িয়া পিইসি পরীক্ষা কেন্দ্রের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জাহিদুল করিম জানান, শিক্ষার যে বয়স নেই তারই প্রমাণ করলেন ৬৫ বছরের বাসিরন নেছা। তাকে দেখে অনেকেই অনুপ্রাণিত হবে বলে মনে করেন তিনি।কেন্দ্র সচিব জিয়া মোহাম্মদ আহসান মাসুম জানান, ছোট ছোট শিক্ষার্থীদের সঙ্গে ব্যাপক উৎসাহ নিয়ে পরীক্ষা দিচ্ছেন বাসিরন। তার পরীক্ষা দেয়ার খবরে এলাকায় আলোড়ন সৃষ্টি হয়েছে। অনেকেই তাকে এক নজর দেখতে ছুটে এসেছেন পরীক্ষা কেন্দ্রে। শিক্ষা ক্ষেত্রে তিনি উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন।বাসিরনের সহপাঠী অথৈই জানায়, ৬৫ বছরের এক বৃদ্ধার সঙ্গে পরীক্ষা দিচ্ছি এটি মনেই হয়নি। একজন সহপাঠীর সঙ্গে পরীক্ষায় অংশ নিয়েছি এমনটিই মনে হয়েছে। তবে তার সঙ্গে পরীক্ষায় অংশ নিয়ে আনন্দিত তারা অন্য সহপাঠীরাও।আসিফ ইকবাল/এআরএ/পিআর