বিএনপি চলমান আন্দোলনকে নিজেরা নিজেদের বাঁচাতে আন্দোলন উল্লেখ করে সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগ সভাপতিমন্ডলীর সদস্য ওবায়দুল কাদের বলেছেন, বিএনপি-জামায়াত জোটের আন্দোলনে এখন দুইশ’, পাচশ’, এক হাজার মানুষের জমায়েত দেখতে পাওয়া যায় না। এটার নাম অন্তত দেশ বাঁচাও আন্দোলন হতে পারে না।শুক্রবার দুপুরে রাজধানীর ডিআরইউ গোলটেবিল মিলনায়তনে এই স্মরণ সভার আয়োজন করে বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক জোট। জোটের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি চিত্রনায়ক ফারুক এতে সভাপতিত্ব করেন। সভার সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রী এ সব কথা বলেন।সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী বলেন, ২০ দলীয় জোট হরতাল-অবরোধের নামে দেশে এখন দুই ধরণের সন্ত্রাস করছে। একটি হচ্ছে বোমাবাজি সন্ত্রাস ও অপরটি বিবৃতি সন্ত্রাস। কোথাও প্রেস ব্রিফিং করা হয় না। চোরাগোপ্তাভাবে পেট্রলবোমা মারা হচ্ছে। অপরদিকে অজ্ঞাত স্থান থেকে হঠাৎ ডাক আসে অবরোধ চলবে। রাজপথে তাদের কারো দেখা যায় না, অথচ হঠাৎ গোপন স্থান থেকে বিবৃত্তি দিয়ে হরতাল-অবরোধ দেয়া হয়।২০ দলীয় জোটের আন্দোলনে জনগণের সম্পৃক্ততা নেই উল্লেখ করে ওবায়দুল কাদের বলেন, তারা বিশ্ব ইজতেমার সময় অবরোধ করে, কোমলমতি শিক্ষার্থীদের সবচেয়ে বড় পরীক্ষা এসএসসি পরীক্ষার সময় হরতাল-অবরোধ করে। তারা এমনকি আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসেও হরতাল অবরোধ করে।তিনি আরো বলেন, নির্বাচনে না গিয়ে তারা (বিএনপি) যে ঐতিহাসিক ভুল করেছে তার খেসারত দিতে হচ্ছে এই দেশের নিরীহ জনগণকে। আজ তারা শিশু-নারী থেকে শুরু করে বাসের ড্রাইভার-হেল্পারদের পেট্রলবোমা মেরে পুড়িয়ে মারছে। এখন বোমা হামলা সীমিত হয়ে আসলেও নতুন করে শুরু হয়েছে ভূমি অফিসে হামলা। গরীব মানুষের জমি-জমা রেকর্ড যেখানে থাকে সেখানেই আগুন দিচ্ছে তারা।সেতুমন্ত্রী বলেন, হাস্যকর অবরোধ-হরতালের ডাক দিয়ে তারা নিজেদের ব্যবসা প্রতিষ্ঠান খোলা রাখে। তাদের প্রাইভেটকার ঠিকই রাস্তায় চলে। এটা কি ধরনের আন্দোলন?সভাপতির বক্তব্যে চিত্রনায়ক ফারুক বিএনপির আন্দোলনের কঠোর সমালোচনা করে বলেন, তাদের আন্দোলন রং ঢংয়ের। এসি রুমে বসে আনন্দ ফুঁর্তি করছেন। আর বিবৃত্তি দিয়ে হরতাল-অবরোধ আহবান করে সাধারণ মানুষ হত্যা করা হচ্ছে।চিত্রনায়ক ফারুক আরো বলেন, দেশের মানুষকে ভাল বাসুন। দেশের মানুষকে ভালবেসে হত্যার রাজনীতি বন্ধ করুন। পরবর্তীতে যখন নির্বাচন হবে তখন নির্বাচনে আসুন।স্মরণ সভায় আরও বক্তব্য রাখেন- বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক জোটের সহ-সভাপতি চিত্রনায়িকা দিলারা ইয়াসমিন, বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক জোটের নেত্রী ফালগুনী হামিদ, সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোটের সভাপতি গোলাম কুদ্দুস, বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক জোটের মুহাম্মদ শাহীন, সফিকুল বাহার মজুমদার টিপু প্রমুখ।আরএস/পিআর