বিশ্বকাপের পর ওয়ানডে ক্রিকেটকে বিদায় জানাবেন ঘোষণাটা আগেই দিয়েছিলেন মিসবাহ-উল হক। অস্ট্রেলিয়ার কাছে বিশ্বকাপের কোয়ার্টার-ফাইনালের পরই ওয়ানডে ক্রিকেটকে বিদায়ও বললেন পাকিস্তানি এই ব্যাটসম্যান। কিন্তু বিদায় বেলায় ক্যারিয়ারে একবারের জন্যও সেঞ্চুরির স্বাদ না পাওয়ার আক্ষেপটা রয়ে গেল পাকিস্তান অধিনায়কের।বিদায় বেলায় তাই এই সেঞ্চুরি না পাওয়ার আক্ষেপটা তুলে ধরে তিনি বলেন,আমার ইচ্ছা ছিল ওয়ানডেতে সেঞ্চুরি করা কিন্তু এটা আসেনি। এটার জন্য আমি সর্বোচ্চ চেষ্টা করেছি; কিন্তু এলো না এবং এটা হতাশাজনক।১৬২ ওয়ানডে ক্যারিয়ারে ৫ হাজার ১২২ রান করেন মিসবাহ। ওয়ানডেতে ৪২টি অর্ধশতকের ইনিংস আছে তার। দুইবার নড়বড়ে নব্বইয়ের ঘরে গিয়ে আউট হন তিনি। ওয়ানডেকে বিদায় বলে দেওয়ায় ২০১৩ সালে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে ওভালে খেলা ৯৬ রানের অপরাজিত ইনিংসটিই মিসবাহর ব্যক্তিগত সর্বোচ্চ হয়ে থাকল।ওয়ানডেতে শতক না পাওয়ার দুঃখ থাকলেও সুখের মুহূর্ত যে মিসবাহর একেবারে নেই, তা নয়। দক্ষিণ আফ্রিকার মাটিতে পাকিস্তানের প্রথম অধিনায়ক হিসেবে সিরিজ জয়, চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী ভারতকে তাদের মাটিতে হারানোর মুহূর্ত ‘বিশেষ’ বলে জানান তিনি।২০০৭ সালে লাহোরে নিউ জিল্যান্ডের বিপক্ষে ম্যাচ দিয়ে ওয়ানডে অভিষেক হয় এই ডানহাতি ব্যাটসম্যানের। ক্যারিয়ারে পাকিস্তানকে ৮৭টি ওয়ানডেতে নেতৃত্ব দেন মিসবাহ। তার অধিনায়কত্বে ৪৫টি ওয়ানডে জয় পায় পাকিস্তান আর ৩৯ ম্যাচে হারে তারা। বাকি তিন ম্যাচের দুটি টাই ও একটিতে ফল হয়নি।এমআর/এমএস