অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে দ্বিতীয় সেমিফাইনালে ৩২৯ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে শুরুটা ভালোই হয়েছে ভারতের। শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত ১৬ ওভারে ২ উইকেটে ভারতের সংগ্রহ ৭৯ রান। রোহিত শর্মা ১৯ আর রাহানে ১ রান নিয়ে ব্যাট করছেন। হাজেলউডের বলে আউট হওয়ার আগে ধাওয়ান করেন ৪৫ রান আর জনসনের বলে আউট হওয়ার আগে কোহলি করেন ১ রান। তবে শুরুতে অস্ট্রেলিয়া কিছু ক্যাচ মিস না করলে স্কোর লাইনটা ভিন্ন হতে পারত। মিচেল স্টার্কের করা প্রথম ওভারে স্লিপে ক্যাচ দিয়েও শেন ওয়াটসনের ব্যর্থতায় বেঁচে যান রোহিত। তখনো রান করতে পারেননি তিনি। চতুর্থ ওভারে জশ হ্যাজেলউডের বল ধাওয়ানের ব্যাটের কানায় লেগে উইকেটের পেছনে গেলেও ক্যাচটা ধরতে পারেননি উইকেটরক্ষক ব্র্যাড হ্যাডিন। ধাওয়ানের রান তখন ৫।এর আগে টস জিতে ব্যাট করতে নেমে স্মিথের সেঞ্চুরির উপর ভর করে ৩২৮ রান সংগ্রহ করে অস্ট্রেলিয়া। তবে শুরুটা ভালো হয়নি অস্ট্রেলিয়ার। ম্যাচের চতুর্থ ও নিজের দ্বিতীয় ওভারের প্রথম বলেই ডেভিড ওয়ার্নারকে ফিরিয়ে বিশ্বকাপের সহ-আয়োজকদের প্রথম ধাক্কা দেন উমেশ যাদব। মাত্র ১২ রান করে যাদবের বলে বিরাট কোহলিকে ক্যাচ দেন তিনি।তবে ১৫ রানে উদ্বোধনী জুটি ভেঙে যাওয়ার ধাক্কা দলকে বুঝতেই দেননি স্মিথ আর ফিঞ্চ। শুরু থেকে আস্থার সঙ্গে খেলে চারবারের বিশ্ব চ্যাম্পিয়নদের বড় সংগ্রহের ভিত গড়ে দেন দুজনে। দ্বিতীয় উইকেট জুটিতে স্মিথ-ফিঞ্চের অবদান ১৮২ রান।শতকের পর বেশিক্ষণ টিকতে পারেননি স্মিথ। যাদবকে তুলে মারতে গিয়ে রোহিত শর্মাকে ক্যাচ দেন তিনি। ৯৩ বলে খেলা ১০৫ রানের চমৎকার ইনিংসটা সাজানো ১১টি চার ও দুটি ছক্কায়। স্মিথের বিদায়ের পরই ছন্দপতন হয় অস্ট্রেলিয়ার। মাত্র ১৬ রানের ব্যবধানে ফিরে যান গ্লেন ম্যাক্সওয়েল ২৩, ফিঞ্চ ৮১ এবং অধিনায়ক মাইকেল ক্লার্ক ১০। ফিঞ্চের ৮১ রানের ইনিংসে ছিল ৭টি চার ও একটি ছক্কা। ৪৩তম ওভারে ক্লার্কের বিদায়ে স্কোর দাঁড়ায় ২৪৮/৫। এরপর জেমস ফকনার ২১, শেন ওয়াটসন ২৮ আর মিচেল জনসন ৯ বলে অপরাজিত ২৭ রান করলে ৩২৮ রানের সংগ্রহ পায় অস্ট্রেলিয়া। ভারতের পক্ষে যাদব নেন ৪ উইকেট। এমআর/পিআর