রোববার থেকে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়া স্থলবন্দর দিয়ে ভারতীয় চাল আগরতলায় যাওয়ার কথা থাকলেও পর্যাপ্ত কাভার্ড ভ্যানের ব্যবস্থা না থাকায় বিলম্বিত হচ্ছে পরিবহনের কাজ। এর ফলে আশুগঞ্জ নৌবন্দরে খালাসের অপেক্ষায় পড়ে রয়েছে ভারতীয় ৯৩৭ মেট্রিক টন চাল।আশুগঞ্জ নৌবন্দর সূত্রে জানা যায়, বিপুল পরিমাণ এ চাল পরিবহনে প্রায় দেড়শ কাভার্ড ভ্যানের প্রয়োজন। একসাথে এতো কাভার্ড ভ্যান আশুগঞ্জ নৌবন্দরে না থাকায় ঢাকা ও চট্টগ্রামে কাভার্ড ভ্যানের জন্য খবর দেওয়া হয়েছে। আগামী দু-একদিনের মধ্যেই এসব কাভার্ড ভ্যান আশুগঞ্জ নৌবন্দরে এসে পৌঁছাবে বলে জানা গেছে।তবে চাল পরিবহনে কাভার্ড ভ্যানের বদলে আশুগঞ্জ বন্দরের পণ্যবাহী ট্রাক ব্যবহার না করায় ক্ষুব্দ প্রতিক্রিয়া জানিয়ে জেলা ট্রাক মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক কাউছার আহমেদ জাগোনিউজকে বলেন, আশুগঞ্জে ৫ শতাধিকেরও বেশি পণ্যবাহী ট্রাক রয়েছে। আমরা আশা করেছিলাম চাল পরিবহনের আমাদের ট্রাকগুলো ব্যবহার করা হবে। কিন্তু, চাল পরিবহনে এসব ট্রাক ব্যবহার না করায় তিনি হতাশা প্রকাশ করেছেন।এ ব্যপারে আশুগঞ্জ নৌবন্দরের পরিদর্শক মো. শাহ আলম জানান, কার্ভাড ভ্যান আশুগঞ্জ বন্দরে এসে না পৌঁছানো পর্যন্ত জাহাজেই থাকবে এসব চাল।এদিকে চাল পরিবহন ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধি নাছির মিয়া জানান, ভারতীয় চালবাহী জাহাজ নির্ধারিত সময়ের একদিন আগেই আশুগঞ্জ নৌবন্দরে এসে পড়ায় এই সমস্যার সৃষ্টি হয়েছে, তবে ঢাকা এবং চট্টগ্রাম থেকে কাভার্ড ভ্যানগুলো আশুগঞ্জ বন্দরে আসলেই চাল পরিবহন শুরু হবে বলে জানান তিনি।এর আগে গতকাল শনিবার দুপুরে ভারতীয় ৯৩৭ মেট্রিক টন চাল নিয়ে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আশুগঞ্জ নৌবন্দরে এসে পৌঁছায় জেড শিপিং লাইন্সের জাহাজ এমভি নিউ টেক-৬।উল্লেখ্য, মানবিক কারণে বিনা মাশুলে ভারতের ত্রিপুরাসহ উত্তর-পুর্বাঞ্চলীয় রাজ্যে ৩৫ হাজার মেট্রিক টন চাল পরিবহনের জন্য ভারত বাংলাদেশ সরকারকে অনুরোধ করে এবং সুবিধাজনক স্থান হিসেবে আশুগঞ্জ নৌবন্দর হয়ে ও আশুগঞ্জ-আখাউরা সড়কপথ ব্যবহার করার অনুমতি চাইলে বাংলাদেশ সরকার দু’দেশের মধ্যে বিদ্যমান নৌপ্রটোকল চুক্তির আওতায় মানবিক কারণে এ চাল পরিবহনের অনুমতি দেয়। এ চাল পরিবহনে কোনো শুল্ক-মাশুল নেয়া না হলেও প্রতি মেট্রিক টন চালে ৩০ টাকা করে ল্যান্ডিং চার্জ এবং নৌবন্দরে জাহাজ অবস্থানের জন্য দৈনিক ১৬০ টাকা করে বার্থিং চার্জ নেয়া হবে। ইতোমধ্যে চুক্তির ৩৫ হাজার মেট্রিক টন চালের মধ্যে গত বছরের আগস্ট ও অক্টোবর মাসে আশুগঞ্জ নৌবন্দর ও আখাউ স্থলবন্দর দিয়ে ১০ হাজার মেট্রিক টন চাল নিয়ে গেছে ভারত সরকার।এমএএস/পিআর