খেলাধুলা

বিশ্বকাপের বাছাই পর্বে খেলতে হবে বাংলাদেশকে!

আগামী ২০১৯ সালের বিশ্বকাপ ক্রিকেট র্যাংকিংয়ের প্রথম আটটিসহ ১০টি দল নিয়ে অনুষ্ঠিত হবে এমনই ইঙ্গিত দিয়েছে ক্রিকেটের আন্তর্জাতিক নিয়ন্ত্রক সংস্থা আইসিসি। ফলে আগামী বিশ্বকাপ খেলতে হলে বাংলাদেশকে বিশ্ব র্যাংকিংয়ের ৮ নম্বর স্থানটা দখল করতে হবে। আইসিসির প্রধান নির্বাহী ডেভিড রিচার্ডসন বলেছেন, বিশ্বকাপকে তারা দেখতে চান একদিনের ক্রিকেটের সেরা দলগুলোকে নিয়ে করা একটি টুনামেন্ট হিসেবে। এখন এটা ৮টি, ১০টি না ১২টি দলকে নিয়ে হবে- এটা সেই দলগুলোর মানের ওপর নির্ভর করে।আইসিসি নিয়মের কোনো পরিবর্তন না হলে দেখা যাবে যে, ২০১৭ সালেল ৩০ সেপ্টেম্বর তারিখে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট র্যাংকিংয়ে যে দেশগুলো ১ থেকে ৮ নম্বরে থাকবে তারা সরাসরি বিশ্বকাপে খেলবে। বাকি দুটি দলকে নির্বাচন করা হবে বাছাইয়ের মাধ্যমে। এ জন্য র্যাংকিংয়ের ৯ এবং ১০, ১১ এবং ১২ নম্বরে থাকা দেশগুলোকে খেলতে হবে একটি কোয়ালিফাই টুর্নামেন্ট।বাংলাদেশের বর্তমান র্যাংকিং ৯। ২০১৭ সালের ৩০ সেপ্টেম্বরের আগেই যদি র্যাংকিংয়ের উন্নতি ঘটাতে পারে তাহলেই সম্ভবও হতে পারে বিশ্বকাপে বাংলাদেশের সরাসরি খেলা। নয়তো সহযোগী সদস্যদের সাথে একটি প্রতিযোগিতায় বাছাই পর্ব খেলে বিশ্বকাপে খেলার যোগ্যতা অর্জন করতে হবে। এ অবস্থায় ২০১৯ বিশ্বকাপ নিয়ে ভাবিয়ে তুলছে বাংলাদেশকে। আইসিসির এই নিয়মে কি তুচ্ছ সহযোগী দেশগুলো? কেন এই নতুন নিয়ম?এবারের বিশ্বকাপে বাংলাদেশের পারফরম্যান্স ছিল ঝাঁঝালো ধরনের। এদিকে সদস্য দলগুলোকে হাতে গুনলে দেখা যায় অস্ট্রেলিয়া, নিউজিল্যান্ড, ভারত, পাকিস্তান, ইংল্যান্ড, দক্ষিণ আফ্রিকা, ওয়েস্ট ইন্ডিজ ও শ্রীলঙ্কা। সহযোগী দেশগুলোর মধ্যেও শক্তিশালী দল হিসেবে আগমন ঘটছে আয়ারল্যান্ড, আফগানিস্তান ও স্কটল্যান্ডের। তবে কি বাংলাদেশকে বাছাই পর্ব খেলতেই হবে? আগামী বিশ্বকাপে ১০টি দল নিয়ে পর্দা উঠবে বিশ্বযুদ্ধের এই কাঠামোর সমালোচনা অনেকেই করেছেন, পরিবর্তনের দাবিও করেছেন। কিন্তু সেরকম পরিবর্তন আদৌ হবে কিনা তা অনিশ্চিত।বাংলাদেশ এই সম্ভাবনার জন্য কতটা তৈরি? ক্রিকেট কর্তাদের কি কোনো ধরনের পরিকল্পনা আছে? এর জবাবে বিসিবির জালাল ইউনুস বলছেন, তাদের পরিকল্পনা আছে সার্বিকভাবে ক্রিকেটের মান উন্নত করার। র্যাংকিং ভালো করতে হলে তাদেরকে শক্তিশালী দেশগুলোকে হারাতে হবে।তিনি আরও বলেন, কীভাবে এই উন্নয়ন ঘটানো হবে তার নানা দিক দেখতে অস্ট্রেলিয়া থেকে একজন বিশেষজ্ঞ আনা হচ্ছে, তৈরি করা হবে উন্নত এবং ফাস্ট-বোলিং সহায়ক পিচ, খুঁজে বের করা হবে তরুণ ফাস্ট বোলিং প্রতিভা- যারা ১৪০ কিলোমিটার গতিতে বল করতে পারবে।বাংলাদেশের ক্রিকেট কর্মকর্তারাও জানান, বিশ্বকাপে সরাসরি খেলার জন্য বাংলাদেশ দলকে নিয়ে পরিকল্পনার কথা। সেজন্য তারা তরুণ প্রতিভাবান ব্যাটসম্যান ও বোলারদের চিহ্নিত করে তাদের বিকাশের জন্য বিভিন্ন কর্মসূচি হাতে নিচ্ছেন।বিএ/আরআইপি