দেশজুড়ে

পরিবেশ সুরক্ষায় প্রাণ-এর অনন্য উদ্যোগ

বর্তমান প্রেক্ষাপটে শিল্প কারখানাগুলোর বর্জ্যে প্রতিনিয়তই পরিবেশ বিনষ্ট হচ্ছে। হুমকির মুখে পড়ছে জীববৈচিত্র্য। তবুও বর্জ্য পরিশোধনে শিল্প কারখানাগুলো অনেকটাই উদাসীনতার পরিচয় দিচ্ছে। আর সেখানে দেশের বৃহৎ শিল্প প্রতিষ্ঠান প্রাণ-আরএফএল গ্রুপ এ বিষয়ে অত্যন্ত সচেতনতার পরিচয় দিচ্ছে।বর্জ্য ব্যবস্থাপনায় নেয়া হয়েছে অত্যন্ত সুদূরপ্রসারী পদক্ষেপ। পরিবেশ সুরক্ষায়ও রয়েছে চোখ ধাঁধানো উদ্যোগ। স্থাপন করা হয়েছে একটি বর্জ্য পরিশোধনাগার। সেখানে প্রতি ঘণ্টায় ১৫ হাজার লিটার বর্জ্য শোধন করা হচ্ছে। এটিকেও ঘণ্টায় ২৭ হাজার লিটার পরিশোধনক্ষম প্ল্যান্টে উন্নীত করার কাজ চলছে। ঘণ্টায় এক লাখ ও ৪০ হাজার লিটার পরিশোধনক্ষম আরও পৃথক দু’টি প্ল্যান্ট স্থাপনের কাজও ইতোমধ্যে শুরু হয়েছে বলে জাগো নিউজকে জানান প্রাণ-আরএফএল গ্রুপের অঙ্গ-প্রতিষ্ঠান হবিগঞ্জ ইন্ডাস্ট্রিয়াল পার্কের জিএম মো. মঞ্জুরুল হক।সদর উপজেলার নূরপুরে স্থাপিত হবিগঞ্জ ইন্ডাস্ট্রিয়াল পার্কে গিয়ে দেখা যায়, বিশাল এ পার্কে খাদ্য সামগ্রী, নৈমিত্যিক ব্যবহার্য্য পণ্যসহ অন্তত ২০টিরও অধিক পণ্য উৎপাদিত হচ্ছে। গুণগত মানের দিক থেকেও এসব পণ্য অত্যন্ত ভালো। ফলে শুধু দেশের বাজারেই নয়, বিশ্বের ১০৮টি দেশের বাজার ইতোমধ্যেই দখল করে নিয়েছে প্রাণ-আরএফএল গ্রুপের পণ্য। এতে একদিকে যেমন দেশের অর্থনৈতিক সমৃদ্ধিতে রাখছে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা, তেমনি অন্যদিকে বিশ্ববাজারে পরিচয় বহন করছে সোনালী এ দেশটির নাম। আর জনজীবনে গুরুত্বপূর্ণ এসব পণ্য উৎপাদনে কোম্পানি রয়েছে অত্যন্ত সচেতন।প্রতিনিয়তই যেখানে বিভিন্ন শিল্প প্রতিষ্ঠানের বর্জ্যে মারাত্মকভাবে বিপর্যস্ত হচ্ছে পরিবেশ, সেখানে প্রাণ-আরএফএল গ্রুপ এ বিষয়ে সুদূরপ্রসারী পরিকল্পনা গ্রহণ করেছে। শুধু অর্থনৈতিক সমৃদ্ধিই জননিরাপত্তা নিশ্চিত করতে পারে না। এ জন্য প্রয়োজন বাসযোগ্য পরিবেশও। তাই সবগুলো বিষয়ই মাথায় রেখে কোম্পানিটি কাজ করে যাচ্ছে। পরিবেশ বিনষ্টকারী বর্জ্যশোধনে সুপরিকল্পিতভাবে নির্মাণ করা হয়েছে ইটিপি (বর্জ্য শোধনাগার)। এসব বর্জ্য পরিশোধন করতে ব্যবহার করা হচ্ছে সোডিয়াম ক্লোরাইল, এলাম ও সোডা জাতীয় পদার্থসহ বিভিন্ন মেডিসিন।চারটি ধাপে প্রক্রিয়া শেষে তা শতভাগ ব্যবহার উপযোগী করে পরিবেশে ছাড়া হচ্ছে। চলমান ইটিপির মাধ্যমে ঘণ্টায় ১৫ হাজার লিটার বর্জ্য শোধন করা হয়। কোম্পানি বিস্তৃত হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে এর প্রয়োজনীয়তাও বাড়তে শুরু করেছে। পণ্য উৎপাদন যেমন বাড়ছে, তেমনি বাড়ছে বর্জ্যের পরিমাণও। তাই এটিকে ২৭ হাজার লিটারে রূপান্তর প্রক্রিয়া ইতোমধ্যে শুরু করা হয়েছে। এছাড়াও ঘণ্টায় এক লাখ ও ৪০ হাজার লিটার পরিশোধনক্ষম আরও পৃথক দু’টি ইটিপি নির্মাণাধীন। এগুলো নির্মাণ হলে আরও দৈনন্দিন ব্যবহার্য্য বেশ কিছু পণ্য উৎপাদন শুরু করবে কোম্পানিটি।এমএএস/বিএ/আরআই