দেশজুড়ে

আদালত এলাকা থেকে বাদীকে অপহরণের চেষ্টা

নরসিংদীতে আদালত পাড়া থেকে মোশারফ হোসেন শিপলু নামে এক বাদীকে অপহরণের চেষ্টা চালায় আসামি পক্ষের লোকজন।এ সময় উভয় পক্ষের মধ্যে ব্যাপক মারামারির ঘটনা ঘটে। পরে মসজিদের মুসল্লিরা এসে মাইক্রোবাসটি আটক করে পুলিশের কাছে সোর্পদ করেছে। সোমবার দুপুরে প্রকাশ্যে নরসিংদী জজ কোর্ট ও কালেক্টরেট ভবন এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। আহত শিপলু ও তার সহযোগীকে রক্তাক্ত অবস্থায় নরসিংদী জেলা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এই ঘটনার পর আদালত এলাকায় ব্যাপক আতঙ্কের সৃষ্টি হয়। মামলার বাদী শিপলুর আত্মীয়-স্বজন জানায়, বছরখানেক আগে নরসিংদী সদর উপজেলার দক্ষিণ পুরানপাড়া গ্রামের মোশারফ হোসেন শিপলু একটি ড্রেজার মেশিন কিনে বালু উত্তোলনের ব্যবসা শুরু করে।ড্রেজার মেশিনটি কিনার সময় নাগরিয়াকান্দী মহল­ার মৃত শফিকুল ইসলামের ছেলে শহিদুল ইসলামের কাছ থেকে এক লাখ টাকা ধার নেয়। ধারের শর্ত ছিল বালু বিক্রি করে টাকা পরিশোধ করে দেবে। কিন্তু শিপলু সঠিক সময়ে টাকা পরিশোধ করতে পারেনি। গত বর্ষার সময় ড্রেজার মেশিনটি আড়িয়ালখাঁ নদে বালু উত্তোলনকালে শহীদুল, শিপলুকে ডেকে নিয়ে শহরের ইসলাম প্লাজা নামে একটি মার্কেটের ভেতর আটকে রেখে তার উপর শারীরিক নির্যাতন চালায়। এর কিছুদিন পর শহীদুলের নেতৃত্বে ৪-৫টি স্পিডবোট নিয়ে ২০-২৫ জনের একদল সশস্ত্র সন্ত্রাসী আড়িয়ালখাঁ নদে গিয়ে ফাঁকা গুলিবর্ষণ করতে থাকে। এতে ড্রেজার চালক ও ম্যানেজমেন্টের দায়িত্বরত লোকজন ড্রেজার ছেড়ে পালিয়ে যায়। পরে সন্ত্রাসীরা ড্রেজারটি চালিয়ে বাউলবাড়ীর ঘাটের দিকে নিয়ে যায়। এই ঘটনায় শহীদুলসহ ৭-৮ জনকে আসামি করে আদালতে মামলা করে শিপলু। আদালত মামলাটি তদন্ত করার জন্য পিবিআইকে দায়িত্ব দেয়। পিবিআই মামলাটির ওপর তদন্ত প্রতিবেদন দেয়ার পর সোমবার শহীদুলসহ অন্যান্য আসামিরা আদালতে হাজিরা দিতে যায়। এ সময় আসামিরা মামলার বাদী শিপলুকে অপহরণের চেষ্টা চালায়। সেই সঙ্গে তাকে মারধর করা হয়। একপর্যায়ে তাদের মধ্যে ধস্তাধস্তি লেগে যায়। পরে মসজিদ থেকে মুসল্লিরা বের হয়ে শিপলুকে রক্ষা করে। মারাত্মক আহত অবস্থায় শিপলু ও তার সহযোগীকে নরসিংদী জেলা হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়। শিপলুর বড় ভাই বাবলু সাংবাদিকদের জানিয়েছে, থানায় মামলা করতে যাওয়ার পর পুলিশ মামলা নিচ্ছে না। তবে পুলিশ জানিয়েছে দুইপক্ষই থানায় মামলা নিয়ে এসেছে। সঞ্জিত সাহা/এএম/আরআইপি