দেশজুড়ে

জামায়াত-শিবির নেতাকর্মীদের জামিন নামঞ্জুর

ফেনীর দাগনভূঞা উপজেলায় নাশকতার চেষ্টার অভিযোগে আটক জামায়াত-শিবিরের শতাধিক নেতাকর্মীর জামিন নামঞ্জুর করে জেল হাজতে প্রেরণের নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। সোমবার দুপুরে ফেনী আমলী আদালত-৩ এর বিচারক খায়রুন নেছা এ আদেশ দেন।পুলিশ জানায়, রোববার সন্ধ্যা ৬টার দিকে উপজেলার বাংলাবাজারের আশরাফুল উলুম কওমী মাদ্রাসায় নাশকতার জন্য গোপন বৈঠককালে স্থানীয়রা এদের ঘেরাও করে রাখেন।খবর পেয়ে ফেনীর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সাইফুল হক ও এএসপি (সার্কেল) শামসুল আলম সরকারের নেতৃত্বে ফেনী থেকে অতিরিক্ত পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে তাদেরকে আটক করে।আটককৃতরা হলেন উপজেলা জামায়াতের সেক্রেটারি রফিকুল ইসলাম দুলাল, পৌর জামায়াতের সেক্রেটারি কামরুল আহসান, শিবির নেতা মোজাম্মেল হোসেন, হাফেজ আশরাফ, আলাউদ্দিন, আবদুল্লাহ আল বশির, জামায়াত নেতা আরিফুর রহমান, হাফেজ ইমাম উদ্দিন, গোলাম রসুল মেনন, জহিরুল ইসলাম, এএসএম সাজ্জাদ, শিবির কর্মী রিয়াদ, পিয়াস, শাকিল, আজমসহ ১১৩ জন।উপজেলা চেয়ারম্যান দিদারুল কবির রতন জানান, নাশকতার জন্য জামায়াত-শিবির ক্যাডাররা পার্শবর্তী কোম্পানিগঞ্জ, সেনবাগ ও সোনাগাজী এলাকা থেকে তাদের ক্যাডারদের এনে জড়ো করে কাওমী মাদ্রাসায় অবস্থান নেন। পরিস্থিতি টের পেয়ে এলাকাবাসী আশরাফুল উলুম মাদ্রাসা ঘেরাও করে পুলিশে খবর দেন।ফেনী অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সাইফুল হক ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে জাগো নিউজকে জানান, আটকরা নাশকতার উদ্দেশ্যে সমবেত হন। দাগনভূঞা থানার ওসি আবুল ফয়সল জানান, আটকদের কাছ থেকে বিভিন্ন জেহাদী বই উদ্ধার করা হয়েছে ।অন্যদিকে, আটককৃত জামায়াত-শিবির নেতাকর্মীরা জানান, তারা জামায়াত নেতা কামারুজ্জামানের গায়েবানা জানাযায় অংশগ্রহণ করতে এলে স্থানীয়রা তাদের মারধর করে পুলিশে দেন।এমজেড/বিএ/আরআই