সময় দেখার জন্য তো বটেই, ফ্যাশনের ক্ষেত্রে সমান গুরুত্বপূর্ণ অনুষঙ্গ যে জিনিসটি তার নাম হাতঘড়ি। প্রয়োজন আর ফ্যাশনের সম্মিলিত এক নাম হতে পারে হাতঘড়ি। আগে অবশ্য সময় দেখার জন্যই ঘড়ির ব্যবহার ছিল। কিন্তু সব কাজের কাজি মুঠোফোনের আবির্ভাবে ঘড়ির প্রয়োজনীয়তা কমতে থাকে। কিছুদিন এভাবে চললেও এখন ফ্যাশন অনুষঙ্গ হিসেবে আবারও হাতঘড়ি চলে এসেছে এক নম্বরে। ব্যক্তিত্ববান পুরুষের প্রয়োজন আর ফ্যাশনের মিশেল ঘটেছে হাতঘড়িতে।বর্তমানে তরুণদের পছন্দের তুঙ্গে রয়েছে মোটা চেইন আর বড় ডায়ালের ঘড়ি। টিনএজাররা বরাবরই স্পোর্টস ঘড়ি পরতে বেশি পছন্দ করে। কেউ আবার পছন্দের হিরোর চুজকে নিজের চুজে পরিণত করেন। তাদের গেটআপ আর ঘড়ি দুটোই ভক্তদের রপ্ত করা চাই।পড়ুয়াদের ফ্যাশন বরাবরই চোখে বাঁধার মতো থাকে, এখনও তাই। হাতের সঙ্গে মানানসই ঘড়িই সব সময় পরতে হবে, তাদের কাছে ব্যাপারটা ঠিক তেমন নয়। বেমানানই তাদের কাছে মানান হয়ে ওঠে কখনো কখনো। সেখানে চিকন হাতে খুব ভারি ঘড়ি বা বেল্টের ঘড়ি স্থান করে নিতে পারে।দামদর : এখনকার হাতঘড়ির বাজারগুলোতে ভিন্ন ব্র্যান্ডের প্রায় সব হাতঘড়িই পাওয়া যায়। ঘড়ির দাম নির্ভর করে এটি কোন ব্র্যান্ডের ঘড়ি তার ওপর। এক্ষেত্রে টাইটান ব্র্যান্ডের ঘড়ি পাওয়া যাবে ২ হাজার ৮৭৫ টাকা থেকে ১৮ হাজার ২০০ টাকায়, ফাস্ট ট্রাক ৪ হাজার ৬২০ থেকে ৮ হাজার ২২০ টাকায়। ওমেগা ব্র্যান্ডের ঘড়ির দাম শুরু হয়েছে ১ লাখ টাকা থেকে। এছাড়াও ওরিয়েন্ট ৩ হাজার ৫০০ থেকে ৫০ হাজার টাকা, রোমার ১২ হাজার ৫০০ টাকা থেকে ৬০ হাজার টাকা, টিসোর্ট ২৫ হাজার থেকে লাখ টাকা, ইয়ার্ডো ৪০ হাজার থেকে ২ লাখ টাকা, প্যারিলাইনার ৫ হাজার থেকে ৩০ হাজার, ট্যাগহিয়ার ৫০ হাজার থেকে ৫ লাখ, রোমানসন পাঁচ হাজার থেকে ৪৫ হাজার, ওয়েস্টার ২ হাজার থেকে ১৫ হাজার, সিটিজেন ১ হাজার ৭০০ থেকে ৩০ হাজার টাকায় পাওয়া যাবে। ব্র্যান্ডের ঘড়ি ছাড়াও চায়না থেকে আমদানিকৃত নন-ব্রান্ড কালারফুল রাবার, চেইন ও কাপড়ের বেল্টে তৈরি বিভিন্ন ঘড়ির দাম পড়বে ২২০ টাকা থেকে ৪৫০ টাকা পর্যন্ত। আর এলইডি যুক্ত ডিজিটাল ঘড়ির দাম পড়বে ৩৫০ টাকা থেকে ৬৫০ টাকার মধ্যে। কোথায় পাবেন : রাজধানীর নিউমার্কেট, বসুন্ধরা সিটি, বায়তুল মোকাররম, পাটুয়াটুলীসহ বিভিন্ন শপিং কমপ্লেক্সে হাতঘড়ির দোকান রয়েছে। এছাড়া বিভিন্ন গিফট শপে পাওয়া যাবে ফ্যাশনেবল ঘড়ি।এইচএন/আরআইপি