শেরপুরের সোহাগপুর বিধবাপল্লী একটি ঐতিহাসিক স্থান। বিধবাপল্লীর গণহত্যার ইতিহাস সংরক্ষণের জন্য একটি বই প্রকাশ, শহীদদের কবরস্থান সংরক্ষণ ঘটনাস্থলে একটি পাঠাগার-স্কুল স্থাপনসহ অচিরেই এলাকাটিকে ইতিহাসসমৃদ্ধ একটি পর্যটন এলাকা হিসেবে গড়ে তোলার ব্যবস্থা নেয়া হবে। সেই সঙ্গে শহীদ পরিবারের যেসব সদস্য এখনো জীবিত রয়েছেন, তাদের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে পদক্ষেপ নেয়া হবে বলে জানালেন জেলা প্রশাসক ডা. মল্লিক আনোয়ার হোসেন।বৃহস্পতিবার সোহাগপুর গণহত্যার শিকার শহীদ পরিবারের বিধবাদের মাঝে বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা ব্র্যাকের দেয়া মাসিক সম্মানিভাতা বিতরণকালে এক আলোচনা সভায় এসব পদক্ষেপের কথা জানান তিনি।জেলা প্রশাসক বলেন, ব্র্যাকের মাইক্রো ফাইন্যান্সিং কর্মসূচির আওতায় বর্তমানে জীবিত থাকা শহীদ পরিবারের ২৫ জন বিধবার মাঝে মাসিক ৪০০ টাকা হারে প্রতিজনের হাতে এক বছরের একত্রে ৪ হাজার ৮০০ টাকা করে তুলে দেয়া হয়। এ উপলক্ষে বিধবাপল্লী শহীদ স্মৃতিস্তম্ভের পাশের খোলা মাঠে আয়োজিত এক আলোচনা সভায় সভাপতিত্ব করেন নালিতাবাড়ী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) তরফদার সোহেল রহমান। ব্র্যাক জেলা প্রতিনিধি আতাউর রহমানের সঞ্চালনায় এতে বক্তব্য রাখেন, জেলা প্রশাসক ড. মল্লিক আনোয়ার হোসেন, কাকরকান্দি ইউপি চেয়ারম্যান শহীদুল্লাহ তালুকদার মুকুল, উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি জিয়াউল হোসেন মাস্টার, সাংবাদিক এমএ হাকাম হীরা প্রমুখ। ব্র্যাক জেলা প্রতিনিধি আতাউর রহমান জানান, ১৯৯৬ সাল থেকে ব্র্যাক সোহাগপুর বিধবাপল্লীর শহীদ পরিবারের ৩৪ জন বিধবাকে মাসিক সম্মানিভাতা প্রদান করে আসছে। যাদের কয়েকজন ইতোমধ্যে মারা গেছেন। প্রথমে মাসিক ১০০ টাকা হারে ভাতা প্রদান শুরু করা হলেও বর্তমানে শহীদ পরিবারের জীবিত প্রত্যেকে মাসিক ৪০০ টাকা হারে সম্মানি ভাতা প্রদান করা হচ্ছে। বর্তমানে ২৫ জন বিধবাকে মাসিক সম্মানি ভাতা দেয়া হয়। হাকিম বাবুল/এএম/আরআইপি