প্রধানমন্ত্রীর উদ্বোধনের আগেই সীমাখালী ঘাটে চিত্রা নদীর ওপর ২৯ কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত সেতুতে ফাটল দেখা দিয়েছে। এর প্রতিক্রিয়ায় জনমনে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে।
চিত্রা সেতুতে পশ্চিম প্রান্তে সেতুর মূল পাটাতনে ফাটল দেখা দিয়েছে। বৃহস্পতিবার (৩০ মার্চ) সকাল থেকেই এ ফাটল দেখা যায়।
এর আগে গত ২৬ মার্চ মহান স্বাধীনতা দিবসে যানচলাচলসহ জনসাধারণের জন্য উন্মুক্ত হয় নড়াইলবাসীর স্বপ্নের চিত্রা সেতু। নির্ধারিত সময়ের প্রায় এক মাস আগে দ্বিতীয় চিত্রা সেতুর নির্মাণ কাজ শেষ হয়।
স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদফতরের (এলজিইডি) তত্ত্বাবধানে নড়াইল শহরের সাবেক ফেরিঘাট এলাকায় ২৮ কোটি ২০ লাখ ৮০ হাজার টাকা ব্যয়ে সেতুটি নির্মিত হয়।
আগামী ৩০ এপ্রিল চিত্রা সেতুর নির্মাণ কাজ শেষ হওয়ার কথা থাকলেও ২৬ মার্চ সেতুটি উন্মুক্ত করা হয়। সেতুটি চালুর ফলে নড়াইল শহরের সঙ্গে লোহাগড়া ও কালিয়া উপজেলাবাসী এবং প্রতিবেশী জেলা গোপালগঞ্জ ও যশোরসহ ঢাকার সড়ক যোগাযোগ ব্যবস্থা সহজ হলেও হঠাৎ করে ফাটল দেখা দেয়ায় নির্মাণ কাজের ত্রুটির অভিযোগে জনমনে নানা প্রশ্নের সৃষ্টি হয়েছে।
এলজিইডি নড়াইলের নির্বাহী প্রকৌশলী আবু ছায়েদ জানান, নবনির্মিত চিত্রা সেতুতে ফাটল সৃষ্টি হওয়ার বিষয়টি তার জানা নেই। এ ব্যাপারে খোঁজখবর নেবেন তিনি।
ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান সূত্রে জানা যায়, ২০১৫ সালের ৩০ এপ্রিল সেতুটির নির্মাণ কাজ শুরু হয়। তবে নির্ধারিত সময়ের আগে ২৬ মার্চ যানবাহন চলাচলের জন্য সেতুটি উন্মুক্ত হয়েছে।
সেতুর মূল দৈর্ঘ্য ১৪০ মিটার। এর বাইরে দুই পাশে ফ্লাইওভারের মতো দেখতে ভায়াডাক্টের দৈর্ঘ্য ২৩৭ দশমিক ৫০ মিটার। সেতুর প্রস্থ ৫ দশমিক ৪৬ মিটার বা ১৮ ফুট। পানির স্তর থেকে সেতুর উচ্চতা ৭ মিটার।
দুই পাশে অ্যাপ্রোচ সড়ক আছে ৪৩১ মিটার। ঢাকার ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান মেসার্স এমবিইএল-ইউডিসি (জেভি) সেতুটি নির্মাণ করেছে।
নড়াইলে অনেক উন্নয়ন প্রকল্প কাজের সমাপ্তি হয়েছে। দ্রুত এসব প্রকল্প প্রধানমন্ত্রী উদ্বোধন করবেন বলে জানা গেছে। কিন্তু উদ্বোধনের আগে সেতুতে ফাটল ধরায় জনগণের মধ্যে ব্যাপক ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। যানচলাচলসহ জনসাধারণের জন্য উন্মুক্ত করার পাঁচদিনের মধ্যেই ফাটল দেখা যায়।
হাফিজুল নিলু/এএম/জেআইএম