শেরপুরে মহাষষ্ঠীতে দেবী বোধনের মধ্য দিয়ে আজ রোববার শুরু হয়েছে সনাতন ধর্মাবলম্বীদের বসন্তকালীণ দুর্গোৎসব বাসন্তী পূজা।
আগামী মঙ্গলবার অষ্টমীতে স্নানোৎসব এবং বৃহস্পতিবার দশমীতে দেবী দুর্গা বিসর্জনের মধ্য দিয়ে শেষ হবে বাসন্তী পূজা।
শেরপুরে সবচেয়ে প্রাচীন বাসন্তী পূজামণ্ডপটি হলো, শ্রীবরদী উপজেলার প্রত্যন্তপল্লী রাণিশিমুল গ্রামের বর্মনপাড়ায়। এবার সেখানকার সার্বজনীন বাসন্তী মন্দিরের বাসন্তী পূজার ৪০তম বর্ষ অতিক্রম করছে। ওই এলাকায় ৩৮ বছর ধরে চলা আরও একটি বাসন্তী পূজামণ্ডপ রয়েছে।
রাণীশিমুল এলাকার বাসিন্দা সনাতন সংঘের সাধারণ সম্পাদক লক্ষণ বর্মণ বলেন, আমাদের এলাকায় দুটি বাসন্তী পূজামণ্ডপ রয়েছে।
এর মধ্যে ৪০ বছর জেলার সবচেয়ে পুরনো বাসন্তী পূজা হয়ে আসছে সার্বজনীন বাসন্তী মন্দিরের পূজামণ্ডপটি। ঝিনাইগাতী এলাকার পলাশ গোস্বামী এ পূজামণ্ডপে পুরোহিত। এছাড়া গত চার বছর ধরে নালিতাবাড়ী উপজেলার সিধুলি গ্রামে বাসন্তী পূজা হয়ে আসছে।
এবার শেরপুর শহরের মাভবতারা কালিমন্দির, রঘুনাথ বাজার কালিমন্দিরসহ আরও চার স্থানে বাসন্তী পূজা অনুষ্ঠিত হচ্ছে।
এ বিষয়ে প্রবীণ সাংবাদিক সুশীল মালাকার বলেন, দেবী দুর্গার শরৎকালের পূজাকে শারদীয় দুর্গোৎসব আর বসন্তকালের পূজাকে বলা হয় বাসন্তী পূজা।
বাসন্তী পূজায় শারদীয় দুর্গোৎসবের মতোই ধর্মীয় আচার-আচরণ পালন করা হয়। শেরপুরে একসময় বাসন্তী পূজার ব্যাপক প্রচলন থাকলেও এখন সেটা কমে গেছে।
এখন শারদীয় দুর্গোৎসবই বেশি হয়। সনাতন ধর্মাবলম্বীদের মাঝে রাজবংশী, বর্মণ, বানাই, হাজং, হরিজন এসব সম্প্রদায়ের লোকজন বাসন্তী পূজা ব্যাপক উৎসাহ-উদ্দীপনা নিয়ে পালন করে।
হাকিম বাবুল/এএম/জেআইএম