দেশজুড়ে

সারা বছর চাষ করা যাবে ভুট্টা

বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউট (বারি) উদ্ভাবিত হাইব্রিড জাতের ‘সাদা ভুট্টা’ সারা বছর সহজে চাষ করা যাবে। বালু মাটি, পতিত জমিতেও এটি চাষ করা যায়।

এছাড়া খরা সহিষ্ণু হওয়ায় এতে সেচ খরচও অনেক কম লাগে। হেক্টরে ফলন প্রায় ৮-৯ মেট্রিক টন। ভুট্টা চাষ করা জমিতে আলু, বাদামসহ বছরে তিনটি ফসল করা যায়।

ধান চাষের চেয়ে ভুট্টার উৎপাদন খরচ কম ও বহুমুখী ব্যবহার হওয়ায় এর চাহিদা অনেক বেশি। সামনের দিনে সাদা রঙয়ের ভুট্টার আবাদ জনপ্রিয় হয়ে ওঠবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন বারির কৃষি বিজ্ঞানীরা।

শেরপুরের নকলা উপজেলার জালালপুর গ্রামে বারি উদ্ভাবিত হাইব্রিড ভুট্টা উৎপাদন কলাকৌশলের ওপর শনিবার এক মাঠ দিবস অনুষ্ঠিত হয়।

এতে বারির পরিচালক (গবেষণা) ড. মো. লুৎফর রহমান প্রধান অতিথি ও জাত উদ্ভাবনকারী কৃষিবিজ্ঞানী বারির উদ্ভিদ প্রজননতত্ত্ব বিভাগের মুখ্য বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. মো. আমিরুজ্জামান বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন।

তারা বলেন, সাদা রঙয়ের ভুট্টা খুব সহজেই আটা-ময়দার সাথে মেশানো যায়। যে কারণে রুটি হিসেবে মানুষ এ ভুট্টা খেতে স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করবে। বাজারে এই ভুট্টার দামও অন্যান্য জাতের ভুট্টার চেয়ে মণ প্রতি ২০০-২৫০ টাকা বেশি পাওয়া যাবে।

তিনি জানান, সাদা রঙয়ের এই ভুট্টার নতুন জাতটি কৃষকের মাঠে উৎপাদনসহ ট্রায়াল পর্যায়ে রয়েছে। খুব শিগগিরই বারির এই সাদা রঙয়ের ভুট্টা নতুন জাত হিসেবে চাষাবাদের জন্য বাজারে পাওয়া যাবে।

জালালপুর গ্রামের কৃষক নেকতার মিয়ার এক একর জমিতে বারি উদ্ভাবিত হাইব্রিড সাদা রঙয়ের ভুট্টার প্রদর্শনী প্লটের পাশে অনুষ্ঠিত হয়। এ মাঠ দিবসে সভাপতিত্ব করেন জামালপুর আঞ্চলিক কৃষি গবেষণা কেন্দ্রের মুখ্য বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. মো. আব্দুল মালেক।

এতে বক্তব্য রাখেন, শেরপুর সরেজমিন গবেষণা বিভাগের প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. মো. সামছুর রহমান, ময়মনসিংহের পিএসও ড. মো. শহীদুজ্জামান, নকলা উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো. হুমায়ুন কবীর, উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি অধ্যাপক মোস্তাফিজুর রহমান, কৃষক লীগ সভাপতি আলমগীর আজাদ, কৃষক মো. আজাদ মিয়া প্রমুখ।

মাঠ দিবসে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের কর্মকর্তা, স্থানীয় সুধী, রাজনীতিক ও শতাধিক কৃষক-কৃষাণী উপস্থিত ছিলেন।

হাকিম বাবুল/এএম/জেআইএম