সময় দেখতে বলুন আর নিজেকে সাজাতে বলুন বর্তমানে ঘড়ির ব্যবহার বেশ চোখে পড়ছে। স্কুল-কলেজ থেকে শুরু করে ভার্সিটি এবং কর্পোরেট হাউজে যারা কাজ করছেন তারাও তাদের হাতে রাখছেন ঘড়ি। নানা রঙের ঘড়ি যেমন পোশাকের সাথে মানিয়ে পরা যায় তেমনি আবার তা ব্যাগ বা জুতার সাথে মিলিয়েও অনেকে পরেন।
নানা ব্র্যান্ডের ঘড়ির পাশাপাশি ব্র্যান্ড ছাড়াও এর ধরন, রঙ আর ডায়েলের প্রতি আকৃষ্ট হয়ে নারীরা ঘড়ি কিনছেন। শাড়ির সাথে যেমন এই ঘড়ি মানিয়ে যায় তেমনি সালোয়ার-কামিজ এবং ওয়েস্টার্ন। বেল্টের ঘড়ি থেকে আছে পাথরের কাজ করে, স্টোন বসানো এবং নানা ধরনের কাজ করা হাত ঘড়ি, যা বৃদ্ধি করে আপনার হাতের সৌন্দর্য আরো কয়েকগুণ।
একটা সময় মেয়েদের ঘড়ি বলতে শুধু চিকুন বেল্ট আর গোল ডায়েলের ঘড়িকেই বুঝানো হতো। কিন্তু সময়ের সাথে সাথে পছন্দের দিকে যেমন পরিবর্তন এসেছে তেমনি ফ্যাশনেও এসেছে পরিবর্তন।
এখন বেল্টের পাশাপাশি মোটা স্টিইলের স্টিলের ঘড়ি মেয়েরা অনায়াসে পরে থাকে। আর রঙের ক্ষেত্রে মেটালিক রঙের প্রাধান্য কিছুটা বেশি। পাশাপাশি আরো আছে কালো, খয়েরি, লালা আর সিলভার রঙের আবদার মেয়েদের কাছে সবচেয়ে বেশি। ডান হাত হোক কিংবা বা হাত মেয়েরা অনায়াসেই পরে নিচ্ছেন তাতে ঘড়ি।
বর্তমানে লম্বা পোশাকের চল বেশি যার মধ্যে লম্বা সালোয়ার কামিজ অন্যতম। এর সাথে খুব সহজেই মানিয়ে যায় সরু বেল্টের ঘড়ি। তবে যাদের হাত কিছুটা সরু কিংবা শুকনা তাদের হাতে আবার মেটালের মোটা ঘড়ি দারুণ মানাবে। শাড়ির সাথে অনায়াসেই মানাবে মোটা বেল্ট। এক্ষেত্রে চিকন বেল্ট একদমই এড়িয়ে চলুন।
কোথায় পাবেন : যমুনা ফিউচার পার্ক, মৌচাক, নিউমার্কেট, রাজউক কমপ্লেক্স এবং আপনার আশপাশের অভিজাত শপিংমলগুলোতে।
দাম এবং ব্রান্ড : টাইটান, ফাস্ট ট্র্যাক, ডিজায়ার, রাডো, টিসো, এম্পোরিও আরমানি, পুলিশ, কেলভিন ক্লেইনের ঘড়ি। এছাড়া আরো কিছু লোকাল ব্র্যান্ডের ঘড়িও পাবেন। এসব ঘড়ির দাম ৩৫০ টাকা থেকে শুরু করে ১৫০০ এবং ৭৫০০ টাকা পর্যন্ত হয়ে থাকে।
এইচএন/আরআইপি