গ্লোবাল ইউক অব অ্যাকশন-২০১৫ উপলক্ষে নড়াইলে `কিছুতেই থামবো না, এক সাথে পরিবর্তন আনবো` এই প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে `একসাথে আমরা প্রতিরোধযোগ্য শিশুমৃত্যু নির্মূল করতে পারি` কর্মসূচি পালিত হয়েছে। স্থানীয় স্বেচ্ছাসেবী উন্নয়ন ও মানাধিকার সংগঠন স্বাবলম্বীর আয়োজনে সুশাসনের জন্য প্রচারাভিযান (সুপ্র) ও ওয়ার্ল্ড ভিশন এর সহযোগিতায় লক্ষ্মীপাশা আদর্শ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে এই কর্মসূচি পালিত হয়।লক্ষ্মীপাশা আদর্শ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের অ্যাসেম্বলিতে প্রায় নয় শতাধিক ছাত্র/ছাত্রী শিক্ষক সমাজকর্মী সম্মিলিতভাবে হাত তুলে একসঙ্গে আওয়াজ তুলে অঙ্গিকার করে বলেন, আমরা সেদিনই থামবো যেদিন কোনো শিশু আর ক্ষুধার জ্বালায় কাতরাবে না বরং ক্ষুধার যন্ত্রণা স্মৃতিতে পরিণত হবে। আমাদের কেউ থামাতে পারবে না যতদিন না আমরা এমন একটি সমাজ বা বিশ্ব গড়তে পারবো যেখানে কোনো শিশু নির্যাতন, সহিংসতা, হানাহানি, যুদ্ধ বিগ্রহ বা শিশু শ্রম থাকবে না। এই বিশ্ব যৌথ উদ্যোগ সপ্তাহে বিশ্বের সকল মানুষের সঙ্গে ঐক্যবদ্ধ হয়ে শিশুদের জন্য আরও সুন্দর পৃথিবী গড়ে তোলার উদাত্ত আহ্বান জানাই। শূণ্যের কোঠায় নেমে আসার লক্ষ্য অর্জিত না হওয়া পর্যন্ত আমরা কিছুতেই থামবো না। আমরাই প্রতিদিনের উদ্যোগ গ্রহণকারী নায়ক। আমরা প্রতিরোধযোগ্য রোগে ৬৩ লাখ শিশুর মৃত্যু দেখতে চাই না। শিশু মৃত্যু শূন্যে নামিয়ে না আনা পর্যন্ত কোনো বাধাতেই থামতে চাই না। আমরা কোনো কিছুতেই থামবো না যতদিন ব্যক্তি, সংস্থাসমূহ, নেতৃবৃন্দ এবং সরকার যৌথভাবে শিশুদের স্বপ্ন ও লক্ষ্য অর্জনে এগিয়ে না আসেন এবং তা বাস্তবায়ন করেন। আমরা কোনো কিছুতেই থামবো না, যতক্ষণ পর্যন্ত পরবর্তী প্রজন্ম শুধুই বেঁচে থাকার জন্য বাঁচবে না বরং তাদের জীবন পরিপূর্ণভাবে বিকশিত হবে। আমাদের লক্ষ্য অর্জিত না হওয়া পর্যন্ত এবং উল্লেখ্য সবকিছুর হার শূণ্যের কোঠায় না নামা পর্যন্ত আমরা কোনো কিছুতেই থামবো না। এ সময় অ্যাসেম্বলিতে বক্তব্য রাখেন স্বাবলম্বীর কর্মসূচি সমন্বয়কারী সরদার আব্দুল হাই আসন্ন বাজেটে সরকারের প্রতি স্বাস্থ্য, জনসংখ্যা এবং পুষ্টিখাতে বিশেষ করে শিশু ও মাতৃ স্বাস্থ্য পর্যাপ্ত বাজেট বরাদ্দ রাখা, পুষ্টি কার্যক্রম অধিকতর গুরুত্ব দিয়ে সম্প্রসারণ এবং শিশুর বিকাশ সম্পর্কে নিবিড় মনিটরিং ব্যবস্থা নিশ্চিত করার দাবি করেন। অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন লক্ষ্মীপাশা আদর্শ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক শেখ হাসানুজ্জামান , স্বাবলম্বীর সহযোগী প্রোগ্রাম সমন্বয়কারী খাদিজা খাতুন প্রমূখ। হাফিজুল নিলু/এমজেড/আরআইপি