শিশু ও মৃত ব্যক্তির নাম অভিযোগপত্রে (চার্জশিট) অন্তর্ভুক্ত করায় আদালতের কাছে নিঃশর্ত ক্ষমা চাইলেন মিরপুর থানা থেকে সাময়িক বরখাস্ত হওয়া উপ-পরিদর্শক (এসআই) মারুফুল ইসলাম।
রোববার ঢাকা মহানগর হাকিম খুরশীদ আলমের আদালতে উপস্থিত হয়ে শিশু ও মৃত ব্যক্তির নামে অভিযোগপত্র দেয়ার বিষয়ে লিখিত ব্যাখ্যা দেন তিনি। আদালত এ বিষয়ে আদেশের ব্যাপারে আগামী ৩০ মে দিন ধার্য করেছেন।
লিখিত ব্যাখ্যায় তিনি বলেন, ‘মিরপুরের চুরি ও মারামারি মামলায় শিশু ও মৃত ব্যক্তির নাম উল্লেখ করে যে অভিযোগপত্র দেয়া হয়েছে তা আমার অনিচ্ছাকৃত ভুল। এ অনিচ্ছাকৃত ভুলের জন্য আমি আদালতের কাছে নিঃশর্ত ক্ষমার আবেদন করছি।’
এর আগে, ৯ মে রাজধানীর মিরপুর থানায় একটি চুরি ও মারামারি মামলার অভিযোগপত্রে রুবেল নামে ১১ মাসের শিশু এবং মৃত আরিফুর রহমানের নাম কেন অভিযোগপত্রে উল্লেখ করা হয়েছে, এর কারণ ব্যাখ্যা করতে তদন্তকারী কর্মকর্তাকে নির্দেশ দেন ঢাকা মহানগর হাকিম খুরশীদ আলম।
এরও আগে, আসামিপক্ষের আইনজীবী শফিকুল ইসলাম মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ও মামলার বাদীর বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা চেয়ে আদালতে আবেদন করেন। আবেদনে উল্লেখ করা হয়, আসামি রুবেল গত বছরের ৬ জুন জন্মগ্রহণ করে। অপরদিকে আরিফুর রহমান ২০১৩ সালের ৩১ জুলাই মারা যান। ওই দু’জনের বিরুদ্ধে ২০১৬ সালের ২৬ জুন মিরপুরের বাসিন্দা হাবিবুর রহমান মামলা করেন।
মামলা দায়েরের সময় রুবেলের বয়স ছিল ২০ দিন এবং আরিফুর রহমান ঘটনার তিন বছর আগে মারা যান। ২০১৭ সালের ২৭ ফেব্রুয়ারি মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা দুই ব্যক্তিসহ ২৩ জনের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেন।
নবজাতকের বাবা আবুল কাশেম জাগো নিউজকে বলেন, আমার ছোট ছেলে রুবেল, যার বয়স ১১ মাস। তার বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা করা হয়েছে। ঘটনার সময় তার বয়স ছিল ২০ দিন। কীভাবে এত ছোট বাচ্চা মারামারি আর চুরি করতে পারে?
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা রুবেলকে অভিযোগপত্রে ৩০ বছর দেখান।
গত ১৪ মে রাজধানীর মিরপুর মডেল থানায় চুরি ও মারামারির অভিযোগে দায়ের করা একটি মামলায় ১১ মাসের শিশু এবং মৃত ব্যক্তির বিরুদ্ধে চার্জশিট দেয়ার অভিযোগে তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই মারুফুল ইসলামকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়। একই সঙ্গে সহকারী পুলিশ কমিশনার (এসি) কাজী মাহবুবুল আলম ও ওসি (তদন্ত) মো. সাজ্জাদ হোসেনকে প্রত্যাহার করা হয়। এছাড়া মিরপুর জোনের ডিসি ও এডিসিকে সতর্ক করে দেন আদালত।
জেএ/এমআরএম/এমএআর/জেআইএম