জাতীয়

২০০ বাংলাদেশিকে ফেরত আনতে চুক্তি সই

মিয়ানমার উপকূল থেকে উদ্ধার হওয়া ২০০ বাংলাদেশিকে দেশে ফেরত আনার বিষয়ে বাংলাদেশ ও মিয়ানমার সরকারের মধ্যে একটি চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছে বলে জানিয়েছে মিয়ানমারের একটি গণমাধ্যম। বুধবার মিয়ানমারের অনলাইন গণমাধ্যম মালাই মেইল এ তথ্য প্রকাশ করে।মিয়ানমারের সংবাদপত্র গ্লোবাল নিউ লাইট অব মিয়ানমারের বরাত দিয়ে মালাই মেইল জানায়, গত মঙ্গলবার মানব পাচার সংক্রান্ত বিষয়ে বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এবং বাংলাদেশস্থ মিয়ানমারের রাষ্ট্রদূতের মধ্যে আলোচনা হয়েছে। এই আলোচনায় উদ্ধার হওয়া বাংলাদেশিদের দেশে ফেরত আনতে দুদেশের মধ্যে চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছে।প্রতিবেদনের উল্লেখ করা হয়, মিয়ানমার ও বাংলাদেশের দরিদ্র জনগোষ্টি দারিদ্র্যতা থেকে মুক্তি পাওয়ার জন্য সাগর পথে বিদেশে পাড়ি দেয়ার সময় এই পাচারের শিকার হচ্ছে।জাতিসংঘের শরণার্থী বিষয়ক সংস্থা বলছে, থাইল্যান্ড সরকার পাচার বিরোধী কঠোর অভিযান শুরু করলে পাচারকারীরা থাইল্যান্ড দিয়ে মানব পাচার বন্ধ করে খোলা সাগরে অভিবাসীদের ছেড়ে দিচ্ছে।মিয়ানমারে ১ দশমিক ১ মিলিয়ন রোহিঙ্গা সংখ্যালঘু বাস্তুহারা ও মানবেতর জীবন যাপন করছে। ২০১২ সালে রোহিঙ্গা বৌদ্ধ সংঘর্ষের সময় কমপক্ষে ১ লাখ ৪০ হাজার রোহিঙ্গা দেশ থেকে বিতাড়িত হয়েছে।প্রতিবেদনে আরো বলা হয়, দক্ষিণ থাইল্যান্ড এবং উত্তর মালয়েশিয়ার পথটি মিয়ানমার এবং বাংলাদেশ থেকে মানব পাচারের একটি উত্তম পথ হিসেবে ব্যবহার করেছে পাচারকারীরা। উদ্ধার হওয়া ব্যক্তিরা জানান, তারা উন্নত জীবনের আশায় বিদেশে যাওয়ার জন্য সাগর পাড়ি দিচ্ছিলো। দৈনিকটি দাবি করে জাহাজে উদ্ধার হওয়া পুরুষরা বন্দর নগরী চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, এবং রাজধানী ঢাকার বাসিন্দা।এদিকে উদ্ধার হওয়া কয়েকজন বাংলাদেশি এক সাক্ষাৎকারে জানান, তারা পাচারকারীদের দ্বারা প্রতারণার শিকার হয়ে নৌকায় করে সাগর পাড়ি দিতে বাধ্য হয়েছেন।উদ্ধার হওয়া মোহাম্মদ মোজাফর হোসেন জানান, তিনি কক্সবাজার সৈকতে ঘুরতে এসেছিলেন, সেখান থেকে তাকে জোর করে নৌকায় তুলে নেয় দুই ব্যক্তি। তারা মোজাফরকে বলে তারা তাকে টাকা দিয়ে কিনে থাইল্যান্ডে নিয়ে যাচ্ছে। এখন বাংলাদেশে ফেরত পাঠানোর জন্য তার (মোজাফর) কাছে পঞ্চাশ হাজার টাকা দাবি করে তারা।বৈষম্য এবং সংঘর্ষ নিরসনে মিয়ানমার সরকারকে আরো সচেষ্টতার সঙ্গে কাজ করার আহ্বান জানিয়ে ওয়াশিংটন এবং জাতিসংঘ বলছে, মানব পাচারের জন্য মিয়ানমারের বৈষম্যমূলক নীতিই মানব পাচারের জন্য সবচেয়ে বেশি দায়ী।এসকেডি/আরআই