নরসিংদীর পলাশ উপজেলায় স্কুল মাঠে বসানো হয়েছে কোরবানির পশুর হাট। এতে বাধাগ্রস্ত হচ্ছে স্কুলের শিক্ষাব্যবস্থা। সরকারি নিষেধাজ্ঞা থাকলেও কোনো প্রকার তোয়াক্কা না করে পশুর হাট বসানোর ফলে দুর্ভোগে পড়েছে বিদ্যালয়ের এক হাজার ৬০০ শিক্ষার্থী।
এছাড়া গরু-ছাগলের মলমূত্র থেকে আসা দুর্গন্ধের কারণে ব্যাহত হচ্ছে পাঠদান। হাটের ইজারা বাজারে থাকলেও ইজারাদার জোর করে স্কুল মাঠে বসানো হয়েছে।
গত রোববার সকাল থেকে হাটের প্রস্তুতির কাজ শুরু করে ইজারাদাররা। বিদ্যালয়ের মাঠজুড়ে বাঁশের খুঁটি বসিয়ে পশু রাখার ব্যবস্থা করা হয়।
মঙ্গলবার ও আগামী শুক্রবার দুই ধাপে বিদ্যালয়ের মাঠে পশু বেচাকেনা হবে। নরসিংদীর পলাশ উপজেলার ডাঙ্গা উচ্চ বিদ্যালয়ে এই চিত্র ।
বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আসাদুজ্জামান খান জানান, ইজারাদাররা ডাঙ্গা বাজারের কোরবানির হাট বসানোর ইজারা নিয়ে আমাদের বিদ্যালয়ে ক্লাস চলাকালীনই পশুর হাট বসিয়েছে। বিষয়টি বিদ্যালেয়ের পরিচালনা কমিটির সভাপতি ও উপজেলা শিক্ষা অফিসারকে জানালেও কোনো ব্যবস্থা নেয়নি।
ডাঙ্গা উচ্চ বিদ্যালয়ের পরিচালানা সভাপতি আজাহার খন্দকার জানান, বিদ্যালয়ের মাঠে পশুর হাট না বসানোর জন্য অনুরোধ করলেও ইজারাদাররা জোরপূর্বক মাঠে খুঁটি পুঁতে হাট বসায়।
এ বিষয়ে ডাঙ্গার কোরবানি পশুর হাটের ইজারাদার জামাল হাসান বলেন, এই বিদ্যালয়ের মাঠে ১৭ বছর ধরে কোরবানির হাট বসছে। এটা সবারই জানা। আমি প্রায় ৯ বছর ধরে এখানে ইজারা নিয়ে হাট বসাচ্ছি।
পলাশ উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার এ. কে. এম ফজলুল হক বলেন, বিদ্যালয়ের মাঠে পশুর হাটের বিষয়টি আমি শুনেছি। পশুর হাটটি বন্ধে ওই বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার সঙ্গে আলোচনা করে ব্যবস্থা নেয়া হবে।
এ ব্যাপারে পলাশ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মাহমুদা আক্তার জানান, উপজেলার সকল ইজারাদাররা বিদ্যালয়ের মাঠ ও সড়কের পাশে পশুর হাট না বসানোর জন্য মুচলেকা দিয়ে হাটের ইজারা নিয়েছে। যদি কোনো ইজারাদার বিদ্যালয়ের মাঠে পশুর হাট বসায়, তবে তাদের ইজারা বাতিলসহ তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।
সঞ্জিত সাহা/এএম/এমএস