সবাইকে হারিয়ে দিল সাইফ পাওয়াটেক। চট্টগ্রাম বন্দরের এনসিটি পরিচালনায় টেকনিক্যাল ও আর্থিক যাচাইয়ে যোগ্য বিবেচিত হলো এ প্রতিষ্ঠানটি। নিউমুরিং কন্টেইনার টার্মিনালের দুইটি জেটি পরিচালনার জন্য সাইফ পাওয়ারটেককে যোগ্য বিবেচনা করেছে দরপত্র মূল্যায়ন কমিটি।সাইফ পাওয়ার টেক আগামী দুই বছর নিউমুরিং কন্টেইনার টার্মিনালের দুইটি বার্থ পরিচালনার জন্য ৪৯ কোটি ৬৪ লাখ টাকা দর উলেখ করে দরপত্র দাখিল করেছিল। দরপত্রে সাইফ পাওয়ারটেকের সঙ্গে রয়েছে সিটি মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দিনের মালিকানাধীন এমএইচ চৌধুরী শিপিং ও নোয়াখালী সদর আসনের সংসদ সদস্য একরামুল করিমের মালিকানাধীন এ এন্ড জে নামের দুইটি প্রতিষ্ঠান।বন্দর সূত্র জানায়, এনসিটি’র পাঁচটি জেটির মধ্যে এক নম্বর জেটি বাদ দিয়ে বাকি চারটিতে বেসরকারি অপারেটর নিয়োগের জন্য দরপত্র আহবান করা হয়। এর মধ্যে ৪ এবং ৫ নম্বর জেটির জন্য দুই খাম বিশিষ্ট দরপত্র আহ্বান করা হয়।টেকনিক্যাল খামে যোগ্য বিবেচিত হওয়ার পর সাইফ পাওয়ারটেকের আর্থিক প্রস্তাব বিবেচনা করে যোগ্য নির্বাচিত করা হয়। দরপত্রের শর্তানুযায়ী নিউমুরিং কন্টেইনার টার্মিনালের ৪ ও ৫ নম্বর বার্থ সিটিএমএস প্রযুক্তিসহ পুরোপুরি পরিচালিত হবে।দীর্ঘ আট বছর আগে টার্মিনালটির নির্মাণ কাজ শেষ হলেও অপারেটর নিয়োগে নানা জটিলতার কারণে দরপত্র আহ্বান করেও বৃহৎ এ টার্মিনালটি চালু করা যায়নি। ২০০৪ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে পাঁচ জেটির এ টার্মিনালটির নির্মাণ কাজ শুরু হয়ে ২০০৭ সালের ডিসেম্বরে শেষ হয়। এতে চট্টগ্রাম বন্দরের খরচ হয় ৪৬৮ কোটি ৯০ লাখ টাকা।এসএইচএস/পিআর