তথ্যপ্রযুক্তি

ঢাকায় মুক্ত সফটওয়্যার ও নীতিমালা বিষয়ক সেমিনার অনুষ্ঠিত

ওপেন সোর্স সফটওয়্যারের জন্ম হয়েছিল এমন এক কপি রাইট লাইসেন্স আইন দ্বারা যা কিনা মানুষকে খুলে দিয়েছিল ওই সফটওয়্যারের সোর্স কোড জানার উপায়, পরিবর্তন কিংবা উন্নতি সাধনের পথ। কিন্তু কালের পরিক্রমায় মানবতার কল্যাণে জেগে উঠা এ প্রয়াসও সম্মুখীন হচ্ছে নানা আইনি জটিলতায়। তাই আবারও আইন হয়ে দাঁড়ায় এই ওপেন সোর্স আন্দোলনের অন্যতম বিষয়। কোন ব্যক্তি ওপেন সোর্স সফটওয়্যার ব্যবহার করার সময় তাকে মেধাস্বত্ত্বের অন্তর্গত ট্রেডমার্ক আইন, কপিরাইট আইন, প্যাটেন্ট আইন কতটুক জানতে হবে? ট্রেডমার্ক আইন ২০০৯ ওপেন সোর্স সফটওয়্যার ব্যবহারের বেলায় কতটুক  স্বাধীনতা দিয়েছে? ইত্যাদি নানা বিষয় নিয়ে সম্প্রতি ঢাকায় অনুষ্ঠিত হল ‘ওপেন সোর্স ইন লিগ্যাল ওয়াল্ড’ শীর্ষক সেমিনার। বাংলাদেশ ওপেন সোর্স নেটওয়ার্কের (বিডিওএসএন) সহযোগিতার এ সেমিনারের আয়োজনে ছিলো ঢাকা সেন্টার ফর "ল" এন্ড ইকোনমিক্স (ডিসিএলই)।ইউনিভার্সিটি অব লন্ডন বাংলাদেশে অবস্থিত রেজিস্টার সেন্টার ডিসিএলই মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত এ সেমিনারে মূল বিষয়ে প্রবন্ধ পড়েন ইউনিভার্সিটি অব লন্ডনের আইন বিষয়ে শেষ বর্ষে অধ্যায়নরত মোঃ জাহিদ হাসান আকন্দ। তিনি তার বক্তব্যে বাংলাদেশের আইন এবং আন্তর্জাতিক আইন অনুসারে কিভাবে একজন ব্যক্তি ওপেন সোর্স সফটওয়্যার ব্যবহার করবে, কিভাবে তার ওপেন সোর্স সফটওয়্যার জগতে পথচলা হবে আরও নিরাপদ হবে, তাকে কোন কোন বিষয় খেয়াল রাখতে হবে এবং নতুন কোন ওপেন সোর্স সফটওয়্যার মুক্ত করার সময় কোন কোন আইন অনুসরণ করতে হবে সেসব বিষয় তুলে ধরেন।সেমিনারে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ব্যরিস্টার ফাতেমা আনোয়ার। তিনি সেমিনারের বিষয়ে নানা বক্তব্যের পাশাপাশি এ সংক্রান্ত বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দেন। সেমিনারে বক্তব্য দেন ডিসিএলই’র প্রিন্সিপাল মোঃ নুরুল ইসলাম, বিডিওএসএনের কর্মসূচি সমন্বয়ক মো. আল রাব্বীসহ অনেকে। সেমিনারে ওপেন সোর্স সফটওয়্যারের আইন ভঙ্গের কারণে কি কি ক্ষতির সম্মুখীন হতে হবে এবং কেউ যদি ওপেন সোর্স সফটওয়্যার আইন ভঙ্গ করে তার বিরোধে কি কি অভিযোগ কিভাবে করতে হবে সেই বিষয়েও আলোচনা করা হয়।এআরএস/পিআর