জাপানি বিশেষজ্ঞ এবং স্থানীয় প্রকৌশলীরা আশুলিয়ার একটি পোশাক কারখানায় নতুন প্রযুক্তিতে ভূমিকম্প-টেকসই ভবন নির্মাণ করেছেন।নতুন এই প্রযুক্তির নাম রিট্রোফিটিং। দুর্বল পোশাক কারখানাগুলোকে না ভেঙ্গে একে ভূমিকম্প-টেকসই হিসেবে গড়তে এই প্রযুক্তি ব্যবহার করা যায়। এতে নতুন করে ভবন নির্মাণ ব্যয়ের চেয়ে প্রায় অর্ধেক কম ব্যয় হয়।রানা প্লাজার মর্মান্তিক দুর্ঘটনার পর জাপান সরকার জাপান ইন্টারন্যাশনাল কর্পোরেশন এজেন্সির (জাইকা) মাধ্যমে একটি প্রকল্পের উদ্যোগ নেয়। প্রকল্পের নাম ‘আরএমজি সেক্টর সেফ এনভায়রনমেন্ট প্রজেক্ট’।বাংলাদেশ ব্যাংকের সঙ্গে যৌথভাবে এর জন্য ১০০ কোটি টাকার একটি তহবিল গঠন করা হয়। শ্রমিকদের জন্য নিরাপদ ভবন নির্মাণে কারখানার মালিকদের এই অর্থ দেয়া হবে।প্রকল্পের কর্মসূচি অনুযায়ী জাইকা তৈরি পোশাক কারখানার মালিকদেরকে তাদের কারখানা ভবনের অবস্থা নিরূপণের উদ্যোগ নেয়ার কার্যক্রম শুরু করেছে।জাইকার আহ্বানে মোট ৩০০ জন তৈরি পোশাক কারখানার মালিক সাড়া দিয়েছেন। এর মধ্যে ‘ক্যাপাসিটি ডেভেলপমেন্ট অন ন্যাচারাল ডিজাস্টার রেসিস্টেন্ট টেকনিক্স অব কনস্ট্রাকশন এন্ড রিট্রোফিটিং ফর পাবলিক বিল্ডিংস (সিএনসিআরপি)’ নামে জাইকার আরেকটি প্রকল্পের আওতায় ২১৪টি কারখানাকে নির্বাচিত করা হয়েছে। গণপূর্ত বিভাগ এটি বাস্তবায়ন করবে বলে জানা গেছে।এসকেডি/আরআই