দেশজুড়ে

নরসিংদীতে চেয়ারম্যানকে গুলি করে হত্যার ঘটনায় মামলা

নরসিংদীর রায়পুরা উপজেলার বাঁশগাড়ি ইউনিয়নের চেয়ারম্যান সিরাজুল হককে গুলি করে হত্যার ঘটনায় ৩০ জনকে আসামি করে মামলা হয়েছে।

তবে এজাহারভুক্ত কোনো আসামিকে গ্রেফতার করতে পারেনি পুলিশ। নিহতের স্বজনরা আসামিদের দ্রুত গ্রেফতার করে দৃষ্টান্তমূলক বিচারের দাবি জানিয়েছেন। ঘটনার পর থেকে গোটা চরাঞ্চলে থমথমে পরিস্থিতি বিরাজ করছে। এতে নতুন করে সংঘাতের আশঙ্কায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।

শুক্রবার রাত ১২টার দিকে রায়পুরা থানায় নিহতের ছোট ছেলে আশরাফুল হক বাদী হয়ে একই ইউনিয়নের জাকির হোসেনকে প্রধান আসামি করে ৩০ জনের বিরুদ্ধে মামলা করেন।

মামলায় এলাকার আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে চেয়ারম্যান সিরাজুল হককে হত্যা করা হয়েছে বলে উল্লেখ করা হয়েছে। ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের গ্রেফতারে পুলিশের বেশ কয়েকটি দল অভিযান শুরু করেছে।

জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন) শাহারিয়ার আলম বলেন, হত্যার সম্ভাব্য সবগুলো কারণ গুরুত্ব দিয়ে আমরা কাজ করছি। এটা হতে পারে ব্যক্তিগত, দীর্ঘদিনের বিরোধ কিংবা অন্যকোনো সংঘাতকে কাজে লাগিয়ে সুবিধা নিতে চাচ্ছে কিনা তাও খতিয়ে দেখা হচ্ছে।

তিনি বলেন, আমরা প্রাথমিক তদন্তে ঘটনার সঙ্গে কারা জড়িত থাকতে পারে তাদের সম্পর্কে ধারণা পেয়েছি। সন্দেহের তালিকায় যারা এসেছে আমরা তাদেরকে শনাক্ত করে গ্রেফতারের চেষ্টা চালাচ্ছি। তাদেরকে গ্রেফতার করে জিজ্ঞাসাবাদ করার পর প্রকৃত রহস্য উদঘাটন করা সম্ভব হবে।

এদিকে, নিহত চেয়ারম্যান সিরাজুল হকের মরদেহ গ্রামের বাড়িতে পৌঁছলে কান্নায় ভেঙে পড়ে স্বজনরা। স্বজন হারানোর আহাজারিতে ভারি হয়ে ওঠে পরিবেশ। পাশাপাশি ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চান তারা।

নিহতের বড় ছেলে নুরুল হক বলেন, আমার বাবা ভালো মানুষ ছিলেন। ওনাকে সরিয়ে দিলে দুষ্কৃতকারীরা এলাকায় রাজত্ব কায়েম করতে পারবে। এজন্য ওনাকে হত্যা করা হয়েছে। যারা আমার বাবাকে হত্যা করেছে আমরা তাদের দ্রুত গ্রেফতার করে দৃষ্টান্তমূলক বিচারের দাবি জানাই।

সঞ্জিত সাহা/এএম/আরআইপি