দেশজুড়ে

মেহেরপুরের বাজারে অপরিপক্ক লিচু

মেহেরপুরের বাজারে উঠতে শুরু করেছে রসালো ফল লিচু। প্রাকৃতিক দুর্যোগের কারণে ঝরে পড়ায় পরিপক্ক হবার আগেই বাগান থেকে লিচু সংগ্রহ করছেন চাষিরা। ফলে লিচুর আসল স্বাদ থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন ভোক্তারা। লিচুর গুণগত মান ঠিক রাখার জন্য আরও কয়েকদিন পর লিচু সংগ্রহের পরামর্শ দিয়েছে কৃষি বিভাগ।

মেহেরপুর জেলায় আটি, বোম্বায়, মোজাফ্ফর, চাইনা থ্রিসহ বিভিন্ন জাতের লিচু চাষ হয়ে থাকে। লাভজনক হওয়ায় এ জেলায় লিচুর আবাদ বাড়ছে। এখানকার লিচু রাজধানী ঢাকা, চট্টগ্রাম, সিলেট, বরিশালসহ দেশের বিভিন্ন জেলায় যাচ্ছে।

কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের হিসেব মতে- চলতি মৌসুমে জেলায় ৫৮৭ হেক্টর জমিতে লিচুর আবাদ হয়েছে। যা থেকে ৪ হাজার ৭০০ মেট্রিকটন লিচু উৎপাদনের সম্ভাবনা রয়েছে। চলতি মৌসুমে বেশ কয়েকবার কালবৈশাখী ঝড়ে গাছ থেকে ঝরে গেছে অনেক লিচু। এতে লোকসান গুনতে হচ্ছে চাষিদের।

কৃষকরা বলছেন, বৈরি আবহাওয়ার কারণেই পরিপক্ক হবার আগেই গাছ থেকে লিচু পেড়ে ফেলতে হচ্ছে। কারণ গাছ থেকে লিচু ঝড়ে পড়ছে। গাছে লিচু ফেটে যাচ্ছে। কাঙ্ক্ষিত দাম না থাকায় লোকসান গুনতে হচ্ছে চাষিদের। উৎপাদন খরচ তুলতে হিমশিম খেতে হচ্ছে তাদের।

তবে লিচুর আবাদে চাষিরা লোকসান গুনলেও লাভবান হচ্ছেন ব্যবসায়ীরা। পরিপক্ক হবার আগেই লিচু বাজারে আসায় লিচুর স্বাদও কমছে বলে জানান ভোক্তারা।

মেহেরপুর কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের উপ-পরিচালক ড. মো. আক্তারুজ্জামান জাগো নিউজকে জানান, লিচুর গুণগত মান ধরে রাখার জন্য আরও কয়েকদিন পর লিচু বাজারজাত করার পরামর্শ দেয়া হচ্ছে কৃষকদের। শিলাবৃষ্টি এবং ঝড় ছাড়া বর্তমানে যে আবহাওয়া বিরাজ করছে তা লিচুর জন্য উপযোগী। অপরিপক্ক লিচু খেলে ভোক্তরা লিচুর পুষ্টিমান পাবে না। লিচুর স্বাদ থেকেও বঞ্চিত হবে। এমনকি লিচুর যে ওজন হওয়ার কথা তাও হবে না।

আসিফ ইকবাল/আরএআর/পিআর