দেশজুড়ে

মেহেরপুরে ধানখেতে ব্লাস্ট, ফলনে বিপর্যয়

মেহেরপুরে বোরো মৌসুমের ধানখেতে ব্লাস্ট রোগের প্রাদুর্ভাব দেখা দেয়ায় ফলন বিপর্যয়ের মুখে পড়েছে। প্রত্যাশা অনুযায়ী ধান না পেয়ে হতাশায় কৃষকরা।

কৃষকরা জানায়, জেলার বিভিন্ন মাঠের ধানে ব্লাস্ট রোগ দেখা দেয়। ধানের শীষ শুকিয়ে চিটা হয়ে যাওয়ায় ফলন বিপর্যয়ে পড়েছে তারা। ফলে প্রত্যাশা অনুযায়ী ধান পাচ্ছে না কৃষকরা।

মেহেরপুর কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের হিসাবমতে, জেলায় ২৩ হাজার ৩৫০ হেক্টর জমিতে ধানের আবাদ হয়েছে। যা থেকে ধান উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ৯৩ হাজার ৪৫০ মেট্রিক টন।

কৃষকরা বলছেন, ২০-২৫ মণ ফলন পাওয়ার কথা থাকলেও পাওয়া যাচ্ছে ৮-১০ মণ। নিজেদের চাহিদা পূরণের পর বাকি ধান বিক্রি ও বীজ তৈরির কাজে ব্যবহার করেন তারা।

অনেকে আবার সমিতি থেকে টাকা নিয়ে চাষাবাদ করায় ঋণ পরিশোধ করতে ব্যর্থ হচ্ছেন। ফলে বিপাকে পড়েছেন তারা। গত কয়েক বছর ব্লাস্ট রোগে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে গম। গমের পরে এবার একই রোগে আক্রান্ত হয়েছে ধান।

মেহেরপুর সরকারি কলেজের উদ্ভিদ বিজ্ঞান বিভাগের সহকারী অধ্যাপক গিয়াস উদ্দিন জাগো নিউজকে জানান, এই রোগটি বীজবাহিত এবং বর্তমান আবহাওয়াতে এটির জীবাণু আরও উপযোগী। এখনই সঠিক পদক্ষেপ নেয়া না হলে ভবিষ্যতের জন্য রোগটি আরও ভয়াবহ আকার ধারণ করতে পারে। ২৬৭ প্রজাতির ব্লাস্টের জীবাণু রয়েছে। এটি একটি ছত্রাকজনিত রোগ। সময়মতো জমিতে সেচ প্রয়োগ করতে হবে এবং ছত্রাকনাশক স্প্রে ব্যবহার করতে হবে।

মেহেরপুর কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক ড. আকতারুজ্জামান জাগো নিউজকে বলেন, জেলায় ব্লাস্ট রোগে আক্রান্ত ধানখেতের পরিমাণ খুবই কম। চার বিঘা জমিতে ব্লাস্ট দেখা দিয়েছিল। যা কৃষি বিভাগ নির্মূল করতে সক্ষম হয়েছে। শিলাবৃষ্টি ও কালবৈশাখীর ঝড়ের কারণে ফলন কম হয়েছে বলে দাবি এই কৃষি কর্মকর্তার।

আসিফ ইকবাল/এএম/এমএস