দেশজুড়ে

৪ বছর ধরে ভোগান্তিতে ২০ হাজার মানুষ

শরীয়তপুর ডামুড্যা উপজেলার দারুল আমান-পূর্বডামুড্যা ইউনিয়নের রায়পুর এলাকায় বড় খালের ওপরের ব্রিজটি দীর্ঘ ৪ বছর ধরে ভাঙা ও জরাজীর্ণ অবস্থায় পড়ে আছে।

বর্তমানে ওই ব্রিজের পাশে বাঁশ দিয়ে সাঁকো তৈরি করে ঝুঁকি নিয়ে পারাপার হচ্ছেন স্থানীয়রা।

প্রতিদিন ঝুঁকিপূর্ণ ওই সাঁকো দিয়ে পূর্ব মাদারীপুর কলেজের শিক্ষার্থীরা ও ডামুড্যা বাজারের চলাচলকারী মানুষ, ২নং মিয়া বাড়ি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়সহ ৩টি বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী, দারুল আমান, পূর্ব ডামুড্যা, আলওয়ালপুর, চর কুমারিয়া ইউনিয়ন ও মোল্লারহাটসহ বেশ কয়েকটি ইউনিয়নের প্রায় ২০ হাজার লোক পার হয়।

স্থানীয়দের অভিযোগ, ব্রিজটি পুনঃনির্মাণ বা সংস্কারের কোনো উদ্যোগ নেই কর্তৃপক্ষের। এলাকার মানুষ কৃষি নির্ভর হওয়ায় উৎপাদিত ফসল নিয়ে ওই সাঁকো দিয়ে পার হতে গিয়ে ভোগান্তি পোহাচ্ছেন।

এলাকাবাসী জানায়, ব্রিজ পারাপার হতে গিয়ে প্রায় সময় নানান দুর্ঘটনার ঘটনা ঘটছে। যেকোনো সময় প্রাণহানীসহ আরও বড় ধরনের দুর্ঘটনা ঘটতে পারে।

স্থানীয় বাসিন্দা আবু কালাম, দিদার বেপারীসহ ব্যবসায়ীরা বলেন, ব্রিজটি চলাচলের অনুপযোগী হওয়ায় স্থানীয় উদ্যোগে ব্রিজের পাশে বাঁশ দিয়ে সাঁকো তৈরি করে চলাচলের ব্যবস্থা করা হয়। তবে ঝুঁকি থেকেই যাচ্ছে। যেকোনো সময় বড় দুর্ঘটনা ঘটতে পারে।

দারুল আমান ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোক্তার হোসেন খান বলেন, ব্রিজটি ভেঙে পড়ে আছে অনেক দিন ধরে। নতুন করে ব্রিজ নির্মাণ করার জন্য ইতোমধ্যে টেন্ডার আহ্বান করা হয়েছে।

ডামুড্যা উপজেলা এলজিইডি প্রকৌশলী মো. হাসান ইবনে মিজান বলেন, ইতোমধ্যে ব্রিজটির টেন্ডার হয়েছে। নদীতে পানি বাড়ার কারণে কাজ শুরু করা যাচ্ছে না। পানি কমলে কাজ শুরু করা হবে।

ছগির হোসেন/এমএএস/আরআইপি