ইসলাম ধর্মাবলম্বীদের ইবাদতের জন্য নির্ধারিত স্থান হলো মসজিদ। এ মসজিদে শুক্রবারের জুমআসহ দৈনিক ৫ ওয়াক্ত নামাজ জামাআতের সঙ্গে আদায় করা হয়।
সম্প্রতি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে মসজিদে ক্রিসমাস ট্রি’র একটি ছবি ভাইরাল হয়ে যায়। তাতে দেখা যায় যে, নামাজের স্থানের সামনে আলোক সজ্জায় সজ্জিত খ্রিস্টানদের ‘ক্রিসমাস ট্রি’। আর এর পাশে নামাজ আদায় করছে কেউ কেউ। এ ছবিটির নিচে অনেকেই বিভ্রান্ত হওয়া সম্পর্কে মন্তব্য করছে।
আসলে এটি কোনো মসজিদ নয়। লন্ডনের একটি কমিউনিটি সেন্টারের ভেতরের দৃশ্য। যেখানে মুসলিমরা অস্থায়ীভিত্তিতে ভাড়ায় সাপ্তাহিক জুমআ এবং রমজানে তারাবিহ নামাজ আদায় করে। এ ছবিটির নিচের কিছু কমেন্টস এমন-
একজন লিখেছে, ‘এটা কেউ বিশ্বাস করবে না যে, কেউ পবিত্র মসজিদে ক্রিসমাস ট্রি রেখেছে।’
মরক্কোর যাহরাহ নামে এক নারী টুটারে লিখেছে যে, মসজিদে ‘ক্রিসমাস ট্রি’? আমি বিভ্রান্ত।’ এছাড়াও অনেকেই বলেছেন যে, এ ছবিতে তারা বিভ্রান্ত।
মসজিদে ‘ক্রিসমাস ট্রি’ ছবিটি সম্পর্কে ইমরান শেখ নামে একজন ফেসবুক কমেন্টে জানান-‘এ স্থানটি দক্ষিণ লন্ডনের সেলডন কমিউনিটি সেন্টার। এ হলটি প্রতিটি শুক্রবার জুমআ নামাজ আদায় করার জন্য ভাড়া করা হয়। আলহামদুলিল্লাহ! আমরা রমজানে এখানে তারাবিহ আদায় করতেও সক্ষম হই। এটা বহু সংস্কৃতিক মানুষের ব্যবহৃত হল। আমি প্রতি শুক্রবার অনেক অমুসলিমকে আমাদের জুমআ নামাজ পরিদর্শনে আমন্ত্রণ জানিয়ে থাকি।
আরও পড়ুন > মসজিদ উদ্বোধন ও কুরআন চুম্বন করলেন প্রেসিডেন্ট লুকাশেঙ্কো
আসল কথা হলো-
লন্ডনে মুসলিমদের সংখ্যার তুলনায় মসজিদের সংখ্যা ও আয়াতন কম। সে কারণে তারা সাপ্তাহিক জুমআ আদায় করার জন্য কমিউটিনি সেন্টার ভাড়া করে তাতে নামাজ আদায় করেন।
আবার অনেকে কমিউনিটি সেন্টারসহ বিভিন্ন অফিস ও কর্মস্তলে চাকরি এবং ব্যবসা করে থাকেন। জুমআ আদায়ে মসজিদে স্থান সংকুলন না হওয়ায় তারা বিভিন্ন কমিউনিটি সেন্টার ভাড়া করে তাতে নামাজ আদায় করেন।
সুতরাং কোনো ছবি দেখে যাচাই-বাছাই না করে ফেসবুক, টুইটার, ইন্সটাগ্রামসহ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমগুলোতে পোস্ট দিয়ে তা ভাইরাল করে দেয়া ঠিক নয়। আর ইসলামও যাচাই না করে কোনো তথ্য প্রচার করায় সমর্থন করে না।
ছবির এ নামাজের স্থানটিও একটি কমিউনিটি সেন্টারের অংশ। এতে বিভ্রান্ত হওয়ার কিছুই নেই। দুঃখজনক হলেও সত্য যে অনেক মুসলিম এ ছবিটি দেখে বিভিন্ন মন্তব্য করেছে কিংবা আন্তরিকভাবে দুঃখ পেয়েছে।
এমএমএস/আরআইপি