সুস্থ ত্বকে অন্তত ২০ শতাংশ পানি থাকে, কোনো কারণে ত্বকের প্রাকৃতিক তেল তৈরির প্রক্রিয়া ব্যাহত হলে তা শুষ্ক হতে আরম্ভ করে, তখনই দেখা দেয় ত্বকের উপরের পাতলা আবরণ উঠে যাওয়ার সমস্যা; যাকে ইংরেজিতে বলা হয় ফ্লেকি স্কিন। খুব গরম বা ঠান্ডা আবহাওয়ায় সাধারণত এই সমস্যা বাড়ে। খুব গরম পানিতে গোসল করলে ফ্লেকি স্কিনের অবস্থা আরও খারাপ হয়।
আরও পড়ুন: ত্বকের যত্নে কিভাবে নারিকেল তেল ব্যবহার করবেন?
এই সমস্যায় যদি আপনিও ভুগে থাকেন তাহলে কয়েকটি ঘরোয়া উপায় বেছে নিতে পারেন পারেন। সেই সঙ্গে অন্তত কিছুদিন বন্ধ রাখুন স্ক্রাবিং, খুব কোমল ফেসওয়াশ ব্যবহারের পরামর্শও দেওয়া হয়।
নারিকেল তেল আপনার ত্বকের যে কোনো সমস্যার সমাধান করতে সক্ষম। নারিকেল তেলের প্রাকৃতিক এমোলিয়েন্টের প্রভাবে ত্বকে আর্দ্রতার জোগান বাড়ে, ত্বকের কোষগুলির মাঝের ফাঁকও ভরে ওঠে, ফলে ত্বক হয় মসৃণ। সামান্য গরম করে দিনে দুইবার ত্বকে ব্যবহার করলে ভালো ফল পাবেন।
মধু যদি ত্বকে সহ্য হয়, তা হলে সরাসরি মধু লাগিয়েও দেখতে পারেন। মধুতেও প্রাকৃতিক এমোলিয়েন্ট থাকে, জ্বালা বা লাল হয়ে ওঠার সমস্যাও কমে। তবে মধুতে অনেকের অ্যালার্জি হয়, সেটাও মাথায় রাখবেন।
অ্যালোভেরা জেলের পরত ত্বকের স্বাভাবিক আর্দ্রতা বজায় রাখতে ও ইনফেকশন কমাতে সক্ষম। রাতে শুতে যাওয়ার আগে মোটা করে অ্যালোভেরার পরত লাগান মুখে, ফারাকটা দেখে নিজেই চমকে যাবেন।
আরও পড়ুন: চুলের যত্নে আপেল
এর পাশাপাশি বেশি করে পানি ও ফলের রস/ দুধ খাওয়া জরুরি। ক্যাফেইন, ধূমপান ও অ্যালকোহলের মাত্রা কমাতে হবে। খুব গরম আর খুব ঠান্ডা দুটোর থেকেই দূরে থাকার চেষ্টাও করতে হবে। নখ দিয়ে ত্বক চুলকাবেন না, তাতে কিন্তু সমস্যার গভীরতা বাড়ে।
এইচএন/পিআর