দেশজুড়ে

পাহাড়ের কেন্দ্রে কেন্দ্রে যাচ্ছে ভোটের সরঞ্জাম

পঞ্চম উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের দ্বিতীয় ধাপের নির্বাচনকে সামনে রেখে শনিবার মধ্যরাতে শেষ হয়েছে প্রার্থীদের প্রচার-প্রচারণা। নির্বাচনকে ঘিরে ভোট উৎসবের পাশাপাশি রয়েছে উদ্বেগ-উৎকণ্ঠা।

নির্বাচনে জয়-পরাজয় নিয়ে চলছে প্রার্থী ও তাদের সমর্থকদের শেষ মুহূর্তের হিসাব-নিকাশ। উৎসাহ-উদ্দীপনা, উদ্বেগ-উৎকণ্ঠার মধ্য দিয়ে সোমবার খাগড়াছড়ির আট উপজেলায় অনুষ্ঠিত হবে ভোটগ্রহণ।

দ্বিতীয় ধাপে অনুষ্ঠিত এ নির্বাচনকে সামনে রেখে প্রশাসনিক প্রস্তুতি শেষ দিকে। রোববার জেলার আট উপজেলার ১৭৫টি কেন্দ্রে পৌঁছে গেছে ভোটগ্রহণকারী কর্মকর্তা ও আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যসহ নির্বাচনী সরঞ্জাম।

সোমবার সকাল ৮টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত টানা ভোটগ্রহণের মাধ্যমে আগামীর নেতৃত্ব নির্বাচন করবেন খাগড়াছড়ির আট উপজেলার ভোটাররা।

দেশের অন্যতম রাজনৈতিক দল বিএনপির ভোটবর্জনের মধ্য দিয়ে খাগড়াছড়িতে আওয়ামী লীগ ও পাহাড়ের বিবদমান আঞ্চলিক দলগুলোর সমর্থন নিয়ে অংশগ্রহণকারী স্বতন্ত্র প্রার্থীদের অংশগ্রহণে অনুষ্ঠিত নির্বাচনকে ঘিরে নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে স্থানীয় প্রশাসন।

খাগড়াছড়ির আট উপজেলায় চেয়ারম্যান, ভাইস চেয়ারম্যান ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৭৮ জন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। এর মধ্যে চেয়ারম্যান পদে ২১ জন, ভাইস চেয়ারম্যান পদে ২৮ জন ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে ২৯ জন।

ইতোমধ্যে খাগড়াছড়ি সদর ও মানিকছড়ি উপজেলায় আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন। মানিকছড়িতে ভাইস চেয়ারম্যান পদেও বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছেন।

অপর ছয় উপজেলার মধ্যে মাটিরাঙ্গায় আওয়ামী লীগ প্রার্থী মো. রফিকুল ইসলামের বিরুদ্ধে বিদ্রোহী হিসেবে মাঠে আছেন মো. তাজুল ইসলাম।

রামগড়ে আওয়ামী লীগের প্রার্থী বিশ্ব প্রদীপ কারবারির বিরুদ্ধে মাঠে আছেন একসময়ের জামায়াত নেতা মো. আবু বক্কর ছিদ্দিক। অন্য চার উপজেলায় আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থীদের পাহাড়ের বিবদমান আঞ্চলিক দলগুলোর সমর্থন নিয়ে অংশগ্রহণকারী স্বতন্ত্র প্রার্থীদের। সেক্ষেত্রে এ চার উপজেলায় আওয়ামী লীগ প্রার্থীদের সঙ্গে স্বতন্ত্র প্রার্থীদের হাড্ডাহাড্ডি লড়াইয়ের সম্ভাবনা রয়েছে।

খাগড়াছড়ির প্রতিটি উপজেলায় নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের পাশাপাশি ভোটের মাঠে আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে পুলিশের পাশাপাশি সেনাবাহিনী ও বিজিবি নিয়োজিত থাকবে। প্রতি উপজেলায় দুই প্লাটুন করে বিজিবি মোতায়েন থাকবে। দীঘিনালা, পানছড়ি ও লক্ষ্মীছড়ি উপজেলাকে অধিকতর গুরুত্ব দিয়ে সেখানে আরও এক প্লাটুন করে অতিরিক্ত বিজিবি মোতায়েন থাকবে বলে জানা গেছে।

মুজিবুর রহমান ভুইয়া/এএম/পিআর