ক্রিকেট দলগত খেলা। তবে ব্যক্তিগত নৈপুণ্য যে অনেক সময় দু'দলের মধ্যে ভাগ্য নির্ধারণ করে দিতে পারে তা গতকাল (বৃহস্পতিবার) বেন স্টোকস দেখিয়েছেন দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে। ব্যাটিং-বোলিং-ফিল্ডিং তিন বিভাগেই অপ্রতিরোধ্য ছিলেন তিনি।
এরকম ঘটনা ঘটতে পারে আজ ওয়েস্ট ইন্ডিজ-পাকিস্তান ম্যাচেও। যদিও এই দুই দলের রয়েছে তারকার ছড়াছড়ি। যেমন ওয়েস্ট ইন্ডিজ দলে আছেন স্বঘোষিত 'ইউনিভার্সাল বস' ক্রিস গেইল, শাই হোপ, এভিন লুইস, আন্দ্রে রাসেলদের মতো তারকা ক্রিকেটাররা। তেমনি পাকিস্তান দলেও আছেন বাবর আজম, ইমাম-উল-হক, ফাখর জামান ও মোহাম্মদ আমিরের মতো প্রতিভাবান সব ক্রিকেটার।
তবে এই দুই দলের দুই তারকার দিকে আজ আলাদা করেই নজর রাখতে হবে। সেই দুজন কারা? চলুন দেখে নেয়া যাক।
মোহাম্মদ আমির (পাকিস্তান) : শুরুতে পাকিস্তানের বিশ্বকাপ দলে ডাকই পাননি এই পেসার। তবে ইংল্যান্ডের কাছে পাকিস্তান ওয়ানডে সিরিজে ধবলধোলাই হলে টনক করে পিসিবির। ওয়াহাব রিয়াজের সঙ্গে অভিজ্ঞতার খাতিরে সরাসরি বিশ্বকাপ দলে অন্তর্ভুক্ত করা হয় আমিরকে। প্রস্তুতি ম্যাচে অবশ্য নিজেকে মেলে ধরতে পারেননি এই বাঁহাতি পেসার। তবে ইংল্যান্ডের কন্ডিশনে আমিরের পেস ও সুইং বেশ ভোগাতে পারে ওয়েস্ট ইন্ডিজ ব্যাটসম্যানদের।
ক্রিকেট বিশ্বে ধূমকেতুর মতো আবির্ভূত আমির এই প্রথম খেলতে যাচ্ছেন বিশ্বকাপ। ২০০৯ সালে ওয়ানডে ক্রিকেটে অভিষেক হলেও ম্যাচ পাতানোর দায়ে নিষিদ্ধ থাকায় আমিরের মোট ওয়ানডে সংখ্যা মাত্র ৫১টি। প্রায় ৩৩ গড়ে এখন পর্যন্ত আমিরের উইকেট সংখ্যা ৬০টি।
আন্দ্রে রাসেল (ওয়েস্ট ইন্ডিজ) : বিধ্বংসী ব্যাটিং কাকে বলে, কত প্রকার ও কী কী তা জানতে হলে এখন আপনাকে দেখতে হবে আন্দ্রে রাসেলের ব্যাটিং। ২০১৫ বিশ্বকাপের মাত্র ১টি ওয়ানডে খেলা রাসেলকে বিশ্বকাপ দলে দেখে অনেকে হয়তো অবাক হয়েছে। তবে জাতীয় দলের বাইরে তার মারমুখী ব্যাটিংয়ে সবাই এতটাই সমাদৃত হয়েছে যে বিশ্বকাপ দল শক্তিশালী করতে তাকে না ডেকে উপায় ছিল না ওয়েস্ট ইন্ডিজ ক্রিকেট বোর্ডের সামনে।
এবারের আইপিএলে টুর্নামেন্ট সেরা এই অলরাউন্ডার ১৩ ইনিংসে ২৪৯টি বল খেলে ২০৪ স্ট্রাইক রেটে রান করেছেন ৫১০। যেখানে ছয় ছিল ৫২টি আর চার ৩১টি। তবে রাসেল শুধু তার ব্যাটিং দিয়েই নয়- বোলিং দিয়েও নাস্তানাবুদ করতে পারে পাকিস্তানের ব্যাটিং লাইনআপকে। ৫২টি ওয়ানডে খেলে ঝুলিতে ৬৫ উইকেট তারই জানান দেয়।
এসএস/এমএস