২০১০ সালের ১২ জানুয়ারি হাসিনা-মনমোহন চুক্তি বাংলাদেশকে ভারতের অধীন করেছে বলে মন্তব্য করেছেন জাতীয় মুক্তি কাউন্সিলের সম্পাদক ফয়জুল হাকিম। তিনি বলেন, ভারতের সঙ্গে ২০১০ সালের ১২ জানুয়ারি হাসিনা-মনমোহন চুক্তি হয়েছে। আমরা অতীতে বলেছি, সব সমাবেশে বলি, এই চুক্তি আমাদের দেশকে, জনগণকে ভারতের অধীন করেছে। তারা (ভারত) আমাদের ওপর রাজনৈতিক নিয়ন্ত্রণ কায়েম করেছে। এই চুক্তি জনসম্মুখে প্রকাশ করতে হবে। এই চুক্তি বাতিল করতে হবে।
শুক্রবার (৪ অক্টোবর) বিকেলে রাজধানীর জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে আয়োজিত এক মানববন্ধনে এ মন্তব্য করেন ফয়জুল হাকিম।
চুক্তি বাতিলের দাবি জানিয়ে তিনি বলেন, ‘ভারতীয় আগ্রাসনের বিরুদ্ধে জনগণের বিক্ষোভ প্রকাশ করলাম। সরকারকে পরিষ্কারভাবে বলতে চাই, ভারতের সঙ্গে সব অসম, সব অধীনতামূলক চুক্তি জনসম্মুখে প্রকাশ করতে হবে। বাতিল করতে হবে।‘
কুমিল্লার ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় আগরতলা বিমানবন্দরের জন্য ভারত সরকার জমি চেয়েছে। এ জমি দেয়া চলবে না। যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশে ঘাঁটি গড়তে চাচ্ছে, তা-ও করতে দেয়া যাবে না বলেও দাবি তোলেন জাতীয় মুক্তি কাউন্সিলের এ সম্পাদক।
কাশ্মীরে আগ্রাসন, এনআরসি নিয়ে যে নিপীড়ন চালাচ্ছে ভারত সরকার তা বন্ধেরও আহ্বান জানায় জাতীয় মুক্তি কাউন্সিল।
দেশের দুর্নীতি প্রসঙ্গে ফয়জুল হাকিম বলেন, ‘বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যকে ঘেরাও করে রাখা হয়েছিল। একপর্যায়ে তাকে পালিয়ে যেতে হয়েছে রাতের বেলা। জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি দেড় কোটি টাকা এক ছাত্র নেতাকে চাঁদা দিয়েছেন, তিনি এখনও পদত্যাগ করেননি। কিন্তু তাকে পদত্যাগ করতে হবে। বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যরা (সম্পতি রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্যের ফোনে টাকা চাওয়ার অডিও রেকর্ড বেরিয়েছে) টেলিফোনে ঘুষ চাচ্ছেন। এ কোন বাংলাদেশ!’
ভারতের সরকারের সঙ্গে আজ শুক্রবার বৈঠক হচ্ছে, সে প্রসঙ্গেও কিছু জানা যাচ্ছে না বলে অভিযোগ করেন অন্য বক্তারা।
পিডি/এসআর/এমকেএইচ