করসেবা প্রদান ও কর সচেতনতা বাড়াতে প্রতিবছরের মতো এবারও আয়কর মেলার আয়োজন করেছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)। ‘সবাই মিলে দেব কর, দেশ হবে স্বনির্ভর’ এই স্লোগানে এবার রাজধানীতে কর মেলা বসেছে অফিসার্স ক্লাবে। বৃহস্পতিবার (১৪ নভেম্বর) শুরু হওয়া সপ্তাহব্যাপী আয়কর মেলা চলবে ২০ নভেম্বর পর্যন্ত।
এবারের মেলায় হেল্প ডেস্ক, রিটার্ন বুথ ও ই-পেমেন্টের সংখ্যা বাড়ানো হয়েছে। সেই সঙ্গে বাড়ানো হয়েছে ই-টিআইএন জোন ও রিটার্ন পূরণের স্থান। মেলা প্রাঙ্গণে এবার ৩৯টি হেল্প ডেস্ক করা হয়ছে, যা গতবছর ছিল ৩৩টি। রিটার্ন বুথ রাখা হয়েছে ৫২টি, যা গতবছর ছিল ৪৯টি। আর ই-পেমেন্ট বুথ করা হয়েছে ১৪টি, যা গতবছর ছিল একটি।
বুথের সংখ্যা বাড়ানোর পাশাপাশি এবার বাড়ানো হয়েছে সেবা দানের স্থানও। ১১২৫ বর্গফুট এলাকাজুড়ে করা হয়েছে ই-টিআইএন জোন, যা গতবছর ছিল ১০০০ বর্গফুটের ওপর। ৭০০০ বর্গফুট এলাকাজুড়ে করা হয়েছে রিটার্ন পূরণের স্থান, যা গতবছর ছিল ২৫০০ বর্গফুট।
বিশাল এই মেলা প্রাঙ্গণে করদাতাদের রিটার্ন জমা দেয়ার ব্যবস্থা করা হয়েছে অফিসার্স ক্লাবের মূল ভবনে। এই ভবনের নিচতলায় রয়েছে বৃহৎ করদাতা ইউনিট, কেন্দ্রীয় জরিপ অঞ্চল, প্রতিবন্ধী করদাতা, সিনিয়র সিটিজেন করদাতা, মুক্তিযোদ্ধা করদাতাদের কর দেয়ার ব্যবস্থা। এর মধ্যে বৃহৎ করদাতা ইউনিট আছে ১ ও ২ নম্বর বুথে। ৩ নম্বর বুথে কেন্দ্রীয় জরিপ অঞ্চল, ৪ নম্বরে প্রতিবন্ধী করদাতা, ৫ নম্বরে সিনিয়র সিটিজেন করদাতা এবং ৬ নম্বর বুথ মুক্তিযোদ্ধা করদাতাদের জন্য।
মূল ভবনের নিচতলার ৭ ও ৮ নম্বর বুথ করা হয়েছে কর অঞ্চল-১ এর জন্য। কর অঞ্চল-২ এর জন্য আছে ৯ ও ১০ নম্বর বুথ। কর অঞ্চল-৩ এর জন্য আছে ১১, ১২ ও ১৩ নম্বর বুথ। এর পাশেই ১৪, ১৫, ১৬, ১৭, ১৮ ও ১৯ নম্বর বুথ করা হয়েছে কর অঞ্চল-৪ এর করদাতাদের জন্য। কর অঞ্চল-৫ এর করদাতাদের জন্য করা হয়েছে ২০ ও ২১ নম্বর বুথ।
ভূল ভবনের দ্বিতীয় তলায় ২২, ২৩ ও ২৪ নম্বর বুথ করা হয়েছে কর অঞ্চল-৭ এর কার দাতাদের জন্য। ২৫ ও ২৬ নম্বর বুথ করা হয়েছে কর অঞ্চল-৮ এর কারদাতাদের জন্য। এর পাশেই ২৭, ২৮ ও ২৯ নম্বর বুথে রিটার্ন জমা দিতে পারবেন কর অঞ্চল-৯ এর করদাতারা। কর অঞ্চল-১০ এর জন্য করা হয়েছে ৩০, ৩১ ও ৩২ নম্বর বুথ। কর অঞ্চল-১১ এর জন্য ৩৩, ৩৪ ও ৩৫ বুথ রয়েছে। এর পাশেই থাকা ৩৬ নম্বর বুথ করা হয়েছে কর অঞ্চল-১২ এর কারদাতাদের জন্য।
মেলা প্রাঙ্গণে ব্যাংকের বুথ করা হয়েছে টেনিস কোর্ট এরিয়ায়। টেনিস কোর্ট এরিয়ার টেন্ট-১ এ রয়েছে সোনালী, জনতা ও বেসিক ব্যাংকের বুথ। সোনালী ব্যাংকের বুথ করা হয়েছে ৫২, ৫৩, ৫৪, ৫৫, ৫৬, ৫৭, ৫৮, ৫৯, ৬০ ও ৬১ নম্বর স্টলে। ৬৫, ৬৬, ৬৭, ৬৮, ৬৯ ও ৭০ নম্বর স্টলে আছে জনতা ব্যাংকের বুথ। পাশেই ৭১, ৭২, ৭৩, ৭৪, ৭৫ ও ৭৬ নম্বর স্টলে রয়েছে বেসিক ব্যাংকের বুথ।
টেনিস কোর্ট এরিয়ার টেন্ট-২ এ রয়েছে-ই-টিআইএন জোন, ই-পেমেন্ট বুথ। এর মধ্যে ১১২৫ বর্গফুট এলাকাজুড়ে করা হয়েছে ই-টিআইএন জোন। পাশেই ৭৭, ৭৮, ৭৯, ৮০, ৮১, ৮২, ৮৩, ৯১, ৯২, ৯৩, ৯৪, ৯৫, ৯৬ ও ৯৭ স্টলে রয়েছে ই-পেমেন্ট বুথ।
এর পাশেই থাকা ৮৯ বুথ থেকে দেয়া হচ্ছে ই-টিআইএন ফরম। ৮৮ নম্বর বুথ থেকে পাওয়া যাচ্ছে ই-টিআইএন টোকেন। পাশের ৮৭ নম্বর বুথ থেকে দেয়া হচ্ছে ই-টিআইএন ইউজার আইডি। ই-টিআইএন ডেলিভারি দেয়া হচ্ছে ৮৬ নম্বর বুথ থেকে। ৮৫ নম্বর বুথে আছে ই-ফাইলিং। পাশেই ৮৪ নম্বর বুথে রয়েছে ই-টিআইএন সচিবালয়।
মেলা প্রাঙ্গণে করদাতা ও সেবাপ্রতাশীদের জন্য হেল্প ডেস্ক রয়েছে টেনিস কোর্ট এরিয়ার টেন্ট-৩ এবং গ্রীণ ফিল্ড এরিয়ায়। এর মধ্যে গ্রীণ ফিল্ড এরিয়ায় অবস্থিত ১৪০ ও ১৪১ নম্বর স্টলে রয়েছে মেডিকেল বুথ। এছাড়া ১২৫, ১২৬, ১২৭, ১২৮, ১৩০, ১৩১, ১৩২, ১৩৩, ১৩৪, ১৩৫, ১৩৬, ১৩৭, ১৪২, ১৪৩, ১৪৪, ১৪৫, ১৪৬, ১৪৭, ১৪৮, ১৪৯, ১৫০ এবং ১৫১ নম্বর স্টলে রয়েছে হেল্প ডেস্ক।
টেনিস কোর্ট এরিয়ার টেন্ট-৩ এর ৯৮, ৯৯, ১০০, ১০১, ১০২ ও ১০৩ নম্বর বুথ কর অঞ্চল-৬ এর জন্য নির্ধারিত। এছাড়া ১০৪, ১০৫, ১০৬, ১০৭, ১০৮, ১১১, ১১২, ১১৩, ১১৪, ১১৫, ১১৬, ১১৭, ১১৮, ১১৯, ১২০, ১২১ ও ১২২ নম্বর স্টলেও হেল্প ডেস্ক খোলা হয়েছে। যেখান থেকে করদাতা ও সেবাপ্রতাশীরা বিভিন্ন সেবা নিতে পারবেন। এছাড়া এখানে রেফারেল হেল্প ডেস্ক রয়েছে ১১০ ও ১০৯ নম্বর স্টলে। আর অভ্যর্থনা ও ফরম বিতরণ করা হচ্ছে ১২৩ ও ১২৪ নম্বর স্টল থেকে।
এমএএস/এসআর/পিআর