অর্থনীতি

শিল্পপ্রতিষ্ঠানের সঙ্গে গণমাধ্যমের সমন্বয় জরুরি

খাদ্য প্রক্রিয়াজাতকরণ শিল্প দেশের অর্থনীতিতে বিশেষ ভূমিকা পালন করছে। কিন্তু সঠিক তথ্য আর গঠনমূলক প্রচারণার অভাবে সম্ভাবনাময় এ খাতটি বাধাগ্রস্ত হচ্ছে। তাই আন্তর্জাতিক বাজারে উদীয়মান খাদ্য শিল্পকে নেতৃত্ব স্থানে নিয়ে যেতে গবেষণামূলক তথ্য সরবারহের পাশাপাশি শিল্পপ্রতিষ্ঠানের সঙ্গে গণমাধ্যমের সমন্বয় বাড়াতে হবে।

শনিবার (২৩ নভেম্বর) রাজধানীর আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্র বসুন্ধরায় (আইসিসিবি) সপ্তম ‘বাপা ফুডপ্রো ইন্টারন্যাশনাল এক্সপো ২০১৯’-এ এক প্যানেল আলোচনায় আলোচকরা এসব কথা বলেন। ‘খাদ্য প্রক্রিয়াজাতকরণ শিল্পের উন্নয়নে গণমাধ্যমের সহায়ক ভূমিকা’ শীর্ষক এ আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।

বেসরকারি প্রতিষ্ঠান ব্র্যাকের পরিচালক মোহাম্মদ আনিসুর রহমানের সঞ্চালনায় সভায় আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, বাংলাদেশ এগ্রো প্রসেসরস অ্যাসোসিয়েশনের (বাপা) সভাপতি এএফএম ফখরুল ইসলাম মুন্সী, মেলা আয়োজক কমিটির সভাপতি এবং প্রাণ-আরএফএল গ্রুপের চেয়ারম্যান ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) আহসান খান চৌধুরী, সংবাদিক নেতা এবং একুশে টেলিভিশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ও প্রধান সম্পাদক মনজুরুল আহসান বুলবুল, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক রুবায়েত ফেরদৌস, দৈনিক প্রথম আলোর বিশেষ বার্তা সম্পাদক শওকত হোসেন মাসুম, ৭১ টিভির বিজনেস ইডিটর আজিজুল ইসলাম, বিডি গ্রুপের নির্বাহী পরিচালক রুহুল আমিন প্রমুখ।

প্রাণ-আরএফএল গ্রুপের চেয়ারম্যান ও সিইও আহসান খান চৌধুরী বলেন, একজন সাংবাদিক দেশকে উপস্থাপন করেন। তারা সমাজে প্রভাব সৃষ্টি করতে পারেন। তাই সাংবাদিকরা যদি সচেতনমূলক কার্যক্রম গড়ে তোলার চেষ্টা করেন, তাহলে আমরা এগিয়ে যাব, বাংলাদেশ এগিয়ে যাবে।

সাংবাদিকরা দেশের বিবেকের আমানতকারী উল্লেখ করে তিনি বলেন, আমার বাবা (প্রয়াত আমজাদ খান চৌধুরী) সব সময় বলতেন, যারা সাংবাদিক তারা দেশের বিবেকের আমানতকারী। তাই সব সময় এ বিবেকের কাছে আমরা আমানত রাখতে চাই। যদি আমাদের কোনো দুর্বলতা থাকে তাহলে সাংবাদিকরা গঠনমূলকভাবে তা তুলে ধরবেন। আমরা আমাদের সমস্যাগুলো জানতে পারবো। এখন প্রতিটি ক্ষেত্রে বিশেষায়িত বিভাগ রয়েছে। সাংবাদিকদেরকেও ক্ষেত্র বিশেষায়িত রিপোর্টের দিকে জোর দিতে হবে। এক্ষেত্রে কোনো সহযোগিতা লাগলে আমরা তা করবো।

মনজুরুল আহসান বুলবুল বলেন, গণমাধ্যম নেতিবাচক সংবাদের পাশাপাশি ইতিবাচক তথ্যগুলো তুলে ধরে। এটাই সাংবাদিকদের কাজ। তবে ইতিবাচক সংবাদগুলো বেশি প্রকাশের জন্য গণমাধ্যমের সঙ্গে শিল্প সংশ্লিষ্টদের সম্পর্ক বাড়ানো জরুরি।

শওকত হোসেন মাসুম বলেন, গণমাধ্যম শুধু নেতিবাচক নয়, ইতিবাচক সংবাদও দেয়। পাঠকও ইতিবাচক সংবাদ পছন্দ করেন। তথ্যের অভাবে সংবাদ উপস্থাপন করা যায় না। তাই শিল্প খাতকে এগিয়ে নিতে হলে গণমাধ্যমের সঙ্গে সম্পর্ক বাড়াতে হবে। তথ্য দিতে হবে। যত বেশি তথ্য আদান-প্রদান হবে ততই শিল্পের জন্য ভালো হবে বলে তিনি জানান।

অধ্যাপক রুবায়েত ফেরদৌস বলেন, গণমাধ্যমকর্মীদের যে রকম তথ্যের ঘাটতি রয়েছে সেই সঙ্গে প্রতিষ্ঠানগুলোও গবেষণায় পিছিয়ে আছে। তাই একটি খাতকে এগিয়ে নিতে হলে গবেষণামূলক তথ্যের বিকল্প নেই।

বক্তারা আরও বলেন, মানুষকে তথ্য জানানো এবং তথ্যের মধ্য দিয়ে মানুষকে শিক্ষিত বা সচেতন করাই হলো গণমাধ্যমের কাজ। তথ্য ব্যবস্থাপনার ঘাটতি থাকলে গণমাধ্যম তার যথাযথ ভূমিকা পালন করতে পারে না। তাই সঠিক তথ্যের যোগান ও তথ্য ব্যাংক তৈরি করা প্রয়োজন। যা থেকে প্রয়োজনীয় তথ্য পাবে গণমাধ্যম। এতে করে এ খাতের সঙ্গে গণমাধ্যমের দূরত্ব কমে আসবে।

এসআই/এমএসএইচ